সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো ছাড়া পথ খোলা নেই, খুলনায় মহাসমাবেশে বিএনপি
খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো ছাড়া পথ খোলা নেই।
শাহজাহান ওমর বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এই সরকার শুনবে না। তাই আমাদের আন্দোলন করতে হবে। জেল খাটতে হবে- এভাবেই আমরা দাবি আদায় করব। আমরা যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে আমাদের দেশ ও জাতি আরও ঘোর বিপদে পড়বে।’
এর আগে, খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ছয়টার পরে শেষ হয়।
সমাবেশে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে যশোর ও চূয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখানে যোহরের নামাজ আদায় করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্যদের নামে স্লোগান না দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
খুলনা নগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, একাধিকবার সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি, সিটি মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শহীদ হাদিস পার্কটি চাওয়া হয়েছে। তিনি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু, সহযোগিতা পায়নি।
তিনি আরও জানান, খুলনায় দেশের অন্যতম বড় একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে না পারা দেশবাসীর কাছে খুলনাবাসীর জন্য লজ্জার।
সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেডি ঘোষ রোড, থানা মোড় এলাকাসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গত রাতে ওইসব এলাকায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়।
ডিবির ডিসি বি এম নুরুজ্জামান জানান, বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে দায়িত্ব পালন করেছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে খুলনার সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এছাড়া, আরও উপস্থিত আছেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইশরাক হোসেন, বরিশালের মো. মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
আরও পড়ুন:
Comments