গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৫

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

ওই পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সায়েম মিয়া। 

তিনি জানান, আহতদের প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ওসি আবু সায়েম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ৬ জনের একটি দল বেলুনে গ্যাস ভরে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতেন। আজ শনিবার দুপুরে বেলুন গ্যাস দিয়ে ফোলানোর এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারটির বিস্ফোরণ ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সিরাজউদ্দৌলা পলিন জানান, তেঁতুলিয়ায় বেলুন বিস্ফোরণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙার পাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৪), ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বাবুল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৮), একই জেলার রানীশংকৈল উপজেলার রাউদনগর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে ইউনুস আলী (৩০) ও নওগাঁ জেলার আব্দুস সালামের ছেলে রাব্বি (১৬)।

আহতদের মধ্যে- ইউনুস আলীর ডান পায়ের উরু থেকে নীচের অংশ উড়ে গেছে এবং শরীর ঝলসে গেছে। এছাড়া সাব্বির হোসেনের ডান চোখ এবং হাফিজুল ইসলামের বাম চোখ গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এ সময় বেলুনে গ্যাস ভরানো দেখতে যাওয়া কিশোর ফয়সাল হোসেনের কোমর ও উরুতে জখম হয়েছে এবং রাব্বির শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

51m ago