উইকেট স্পিন বান্ধব হলেই কান্নাকাটি কেন, লায়নের প্রশ্ন
আহমেদাবাদে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্টের উইকেট নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা, সমালোচনা। স্পিনারদের জন্য অতি সহায়ক উইকেটে দুই দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা বলছেন, এমন উইকেট ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক। তবে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন বললেন, আহমেদাবাদের বাইশ গজ ছিল দুর্দান্ত। তার বরং প্রশ্ন, উইকেট স্পিন বান্ধব হলেই সবাই মাতম শুরু করে কেন?
আহমেদাবাদে গোলাপি বলের টেস্টে দুই দলের চার ইনিংস মিলিয়ে রান হয়েছে ৩৮৭। উইকেট পড়েছে ৩০টি। যার মধ্যে পেসাররা পেয়েছেন কেবল ২ উইকেট। স্পিনাররা তুলেছেন বাকি ২৮ উইকেট। এমনকি অনিয়মিত স্পিনার হয়েও মাত্র ৮ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট।
উইকেটে প্রথম সেশন থেকেই উড়তে থাকে ধুলো। অহরহ টার্ন আর বাউন্স মিলিয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল কঠিন পরিস্থিতি। ভারতের কাছে ১০ উইকেটে ম্যাচ হারার পর ইংল্যান্ডের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা মাতেন পিচের সমালোচনায়।
গোলাপি বলে সাধারণত পেসাররাই বেশি সহায়তা পান। কিন্তু আহমেদাবাদে দেখা যায় ভিন্নতা। উইকেটের ধরণ পড়ে নিয়েই একাদশে দুই পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার খেলিয়েছিল ভারত। কিন্তু ইংল্যান্ড একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার জ্যাক লিচের সঙ্গে খেলায় চার পেসার।
বার্তা সংস্থা এএপিকে মন্তব্য করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রবল প্রতিদ্বন্দি ইংল্যান্ডের এই কৌশলকেই মূল দায় হিসেবে ইঙ্গিত করেন অসি স্পিনার লায়ন, ‘টেস্ট ম্যাচের সেরা ব্যাপার ছিল ওই উইকেটেও ইংল্যান্ড চার পেসার নিয়ে নেমেছে। আমি আর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
এরপরই লায়ন সরাসরি প্রশংসা করেছেন পিচের। পেস বান্ধব উইকেটে যখন দলগুলো অল্পরানে গুটিয়ে যায় তখন কেউ উইকেট নিয়ে কিছু বলে না। কিন্তু স্পিনারদের সহায়ক পরিস্থিতি থাকলেই কেন সবার আহাজারি শুরু হয়, এই প্রশ্ন রেখেছেন ১০০ টেস্টে ৩৯৯ উইকেট নেওয়া লায়ন, ‘এটা (আহমেদাবাদের পিচ) ছিল দুর্দান্ত। আমি ভাবছি কিউরেটরকে এসসিজিতে (সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড) আনা যায় কিনা। আমরা এমন সব পেস বান্ধব উইকেটে খেলি যেখানে ৪৭, ৬০ রানে গুটিয়ে যাই। কেউ তখন কিছু বলে না। কিন্তু যখনই স্পিনিং উইকেট থাকে সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কিছুতেই এটা আমার মাথায় ঢুকে না।’
লায়নের মতে খেলাটার মূল ব্যাপার হলো বিনোদন। আর আহমেদাবাদের উইকেট সেটা দিতে পেরেছে, ‘আমি এর পক্ষে (স্পিংনি উইকেট) আছি। এটা দারুণ আনন্দদায়ক।’
Comments