আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা

আজ রোববার মধ্যরাত থেকে ইলিশের অভয়াশ্রমে শুরু হচ্ছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর আওতায় বরিশাল বিভাগের তিন জেলাসহ মোট ছয় জেলার ৪৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জনিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
hilsa
স্টার ফাইল ফটো

আজ রোববার মধ্যরাত থেকে ইলিশের অভয়াশ্রমে শুরু হচ্ছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর আওতায় বরিশাল বিভাগের তিন জেলাসহ মোট ছয় জেলার ৪৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জনিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২০০৫ থেকে চারটি অভয়াশ্রমের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বরিশাল বিভাগের তিন জেলা ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুরের নদ-নদীতে এটি কার্যকর করা হবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায়   এসব এলাকার নদীতে কোনো ধরনের মাছ ধরতে কেউ নামতে পারবে না। এ ছাড়া ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও বাজার জাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এই কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা মাইকে প্রচার প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করছেন। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, চাঁদপুরের ষাটনল পয়েন্ট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিমি, ভোলা জেলার চরইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিমি, ভোলা জেলার চরভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চররুস্তম ১০০ কিমি, বরিশাল জেলার সদর, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৮২ কিমি, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ জেলার ২০ কিমি ও পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিমি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি জানান, এবার ছয় জেলার জেলেদের ভিজিএফের মাধ্যমে প্রতি কার্ডে ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে এসব চাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো শুরু হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ভোলা পটুয়াখালীর নদ-নদীর অভয়াশ্রম এলাকা এখন জাটকার বিচরণক্ষেত্র। এগুলোর বড় হওয়ার সুযোগ দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্য নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রচার, প্রচারণার কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল থেকে অভিযান পরিচালনা হবে।

বরিশাল জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি ইসরাইল পণ্ডিত জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাত্র ৪০ কেজি চাল অপ্রতুল, এটি  ১৫০ কেজি করা প্রয়োজন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, ‘আমরা প্রথম কিস্তিতে ৪০ হাজার পাঁচ জেলে পরিবারের জন্য (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) দুই মাসে প্রতিমাসে ৪০ কেজি হিসাবে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার ৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করেছি। গতবছর এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার পাঁচ জেলের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪০ মেট্রিকটন। এই চাল চাঁদপুর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাধ্যমে পৌঁছানো হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধে নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মাছ ধরা প্রতিরোধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago