বগুড়া পৌর নির্বাচন

অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার হাতে হাতকড়া

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে বগুড়া কলেজ (শহরের নারুলি এলাকায়) কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মুকুল ইসলামকে হাতকড়া পরিয়ে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখে।
অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা মুকুলের হাতে এক ঘণ্টা হাতকড়া পরিয়ে রাখেন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে বগুড়া কলেজ (শহরের নারুলি এলাকায়) কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মুকুল ইসলামকে হাতকড়া পরিয়ে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখে।

পুলিশের অভিযোগ, মুকুল অবৈধভাবে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং পুলিশের সঙ্গে বাজে আচরণ করে।

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতা মুকুলকে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মালিকের কক্ষে হাত কড়া পরিয়ে রাখেন।

তবে ছাত্রলীগ নেতা মুকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি এক নেতার সঙ্গে দুপুর একটার সময় পোলিং এজেন্টদের খাবার দিতে আসি। এসময় পুলিশ বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে সাবইন্সপেক্টর রফিক এবং দুইজন কনস্টেবল আমাকে কলার ধরে মারতে মারতে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে নিয়ে হাত কড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখে। এসময় তারা আমার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয়।’

এ প্রসঙ্গে সাবইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামের (বগুড়া ধুনট থানা) বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা জোর করে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।’

প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মালিক জানান, এই ছাত্রলীগ নেতাকে আমার কক্ষে হাত কড়া পরিয়ে রেখেছিল পুলিশ। কিন্তু, আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।

কোনো মামলা না দিয়ে, কোনো প্রসিকিউসন ছাড়া হাতকড়া পরানোর কারণ জানতে চাইলে সাবইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।

তবে, বগুড়া আদালতের আইনজীবী নরেশ মুখার্জী (স্পেশাল পিপি) বলেন, মামলা না দিয়ে কিংবা কোনো প্রসিকিউশন ছাড়া পুলিশ কা উকে হাতকড়া পরাতে পারে না। তবে, এই বিষয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিতে কি লেখা আছে তা আমার জানা নেই।’

বিকেল তিনটার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মুকুলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

2h ago