জাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে ২ শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে তাদের দাবিতে একাত্মতা পোষণ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন ওই ব্যাচের আরও একদল শিক্ষার্থী।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নাঈম শেখ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নুর হোসাইন।
অনশনরত শিক্ষার্থী নুর হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চার বছর হলো, অথচ এখনো আমরা তৃতীয় বর্ষ শেষ করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও প্রশাসনে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। তাই পরীক্ষার দাবিতে অনশনে বসেছি।’
অনশনে থাকা নাঈম শেখ বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমরা একই বর্ষে থাকায় মানসিকভাবে হতাশার মধ্যে আছি। আমরা দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা অনলাইন বা অফলাইন যে কোনো মাধ্যমে রোজার ঈদের আগে পরীক্ষা দিতে চাই।’
বিষয়টি জানতে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জাবি প্রশাসনের ওই প্রতিনিধি দলের একজন গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি ছাড়াও আমরা কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমি টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান হিসেবে গতকালও মিটিং করেছি। আমরা মূলত প্রথমে অনলাইনে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিয়েছি, পর্যায়ক্রমে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া পরিকল্পনা ছিল।’
কেন শিক্ষার্থীরা এমন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হলো- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যাই হোক শিক্ষার্থীরা একটু ওয়েট (অপেক্ষা) করতে পারত। পরীক্ষার দাবি নিয়ে এসেছে, এটা আমরা খারাপভাবে দেখি না। আগে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাই দিতে চাইতো না, এখন তারা পরীক্ষা দিতে চায়। পরীক্ষা নিয়ে আমাদের কিছু প্রস্তাবনা আছে, আমরা সেগুলো উপস্থাপন করতে এসেছি।’
এর আগে, তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
Comments