এবারও এশিয়া কাপ হচ্ছে না!
২০১৮ সালে হয়েছিল সবশেষ এশিয়া কাপ। এরপর ২০২০ সালের আসর ভেস্তে যায় করোনাভাইরাসের থাবায়। ২০২১ সালে জুন মাসে শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ। কিন্তু ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় ভেস্তে যেতে যাচ্ছে সে পরিকল্পনা।
রোববার করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সম্ভাবনার কথা জানান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এহসান মানি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে আছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার আর কোন খেলা বাকি না থাকায় ভারতের হাতেই লাগাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে জয় অথবা ড্র হলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। আর হেরে গেলে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে অস্ট্রেলিয়া।’
ভারত ফাইনালে উঠছে এটা ধরে নিয়েই পিসিবি প্রধান আভাস দেন টুর্নামেন্টটি এবার হচ্ছে না, 'গত বছর এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। স্থগিত করে এই বছরে আনা হলো। এখন মনে হচ্ছে এই বছরও হবে না। কারণ জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আছে। শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে তারা জুনে আয়োজন করতে প্রস্তুত।'
'কিন্তু তারিখটা সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে। আমার মনে হয় না টুর্নামেন্টটা আবার হবে। হয়ত ২০২৩ সালে পিছিয়ে দিতে হবে।'
আইসিসির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হিসাব সামনে রেখে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজন হয় এশিয়া কাপ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ২০১৮ সালে তাই হয়েছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আয়োজন। আয়োজক হিসেবে ছিল শ্রীলঙ্কা।
২০২২ সালে আবার এশিয়া কাপের হোস্ট পাকিস্তান। কিন্তু সে বছর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি থাকায় ২০২৩ সালকেই লক্ষ্য করছে পাকিস্তান। এমনটা হলে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে বিরতি পড়ে যাবে পাঁচ বছর।
পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানও মনে করেন, চলতি বছরে আর এশিয়া কাপের সম্ভাবনা নেই, 'মনে হচ্ছে ভারতই ফাইনাল খেলবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। সেকারণেই শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব হবে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এমন অবস্থায় হওয়ার নয়। আগামীর জন্য আমাদের ভাবতে হবে।'
Comments