বাস বন্ধ, বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশে পথে পথে বাধার অভিযোগ
রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় বিভাগীয় সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় পদ্মারপাড়ে নাইস কনভেশন সেন্টারের সামনে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি নেতা ও কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, রাজশাহীতে প্রবেশে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘সমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহীতে আসার পথে দুপুর ১টায় পুঠিয়া উপজেলায় আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
নওগাঁর ধামুরহাট থানা যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে চালকরা জানিয়েছেন, তারা আসতে পারবেন না। চাপ আছে। পরে পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ জন এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চার জন আমরা রাজশাহীতে এসেছি। মোড়ে মোড়ে আমাদের আটকে তল্লাশি করা হয়েছে। আমরা একসঙ্গে আসতে পরিনি। আলাদা আলাদা এসেছি। নওগাঁয় নওহাটা মোড়ে এবং রাজশাহীতে নওদাপাড়ায় আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সমাবেশের কথা না বলে নানান অজুহাত দিয়ে আসতে হয়েছে। আমাদের অনেক নেতা আসতে পারেননি।’
গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, তারা ২৭ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে রাজশাহীতে এসেছেন। কিছু দূর পর পর তাদের পকেটে হাত দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। জেরা করা হয়েছে কোথা থেকে এসেছেন, কোথায় যাবেন।
নগর বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাধা উপেক্ষা করে সব জেলা থেকেই আমাদের নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে এসেছেন।
গতকাল দুপুরে শহরের মানুপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পরে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হানিফ এন্টারপ্রাইসের ম্যানেজার এস এম মঞ্জুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল সকাল দিকেও গাড়ি চলেছে। হঠাৎ আমরা লক্ষ করলাম শ্রমিকরা কোনো ঘোষণা না দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পরিবহন শ্রমিক নেতারা টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখতে বলে গেছেন। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শাফকাত মঞ্জুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারণে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।’
তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভেন্যু কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করতে বাস মালিক সমিতি ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। নানা কারণে তারা বাস চালাতে পারছেন না।’
দ্বিতীয় দিনের মতো বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগরীর শিরোইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।
Comments