শহীদ মিনারে লিলি চৌধুরীর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর সহধর্মিণী নাট্যাভিনেত্রী লিলি চৌধুরী প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
আজ দুপুর পৌনে ১২টায় লিলি চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে শিক্ষক, লেখক, সাহিত্যিক, অভিনেতা, নাট্যনির্মাতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে লিলি চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘শহীদ মুনির চৌধুরী ও লিলি চৌধুরী দম্পতি নানাভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের দেখানো পথ ও প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়েছি আমরা, আমাদের তরুণ সংস্কৃতি কর্মীরা। এই দম্পতি অফুরন্ত অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। অনেক সংগঠন তাকে (লিলি চৌধুরী) পুরস্কৃত করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের সরকার, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সরকারও লিলি চৌধুরীকে কোনো পুরস্কার দেননি। তিনি একুশে পদক পাননি, স্বাধীনতা পদক পাননি। দুর্ভাগ্য আমাদের একাত্তরে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল তাদের স্বাধীনতার পদক এখনো রয়ে গেছে। এই শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে সরকারের কাছে আমার দাবি এই বছর স্বাধীনতা পদকের তালিকায় লিলি চৌধুরীর নাম থাকবে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘মুনির চৌধুরী ও লিলি চৌধুরীর যে বৃহত্তর পরিবার, তা বাংলাদেশের নির্মাণের সাথে যুক্ত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং তারা কখনো হারিয়ে যাবেন না। তাদের হয়ত দৈহিক তিরোধান হয়েছে, কিন্তু আদর্শিক তিরোধান কখনো হবে না।’
শ্রদ্ধা জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, লিলি চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়সহ আরও অনেকে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর বাসায় ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন লিলি চৌধুরী।
Comments