ভুয়া কাগজে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ: গ্রেপ্তার ৫

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স
ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে ব্যাংক ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
 
আজ বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর খিলগাঁও ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
 
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— আল আমিন ওরফে জামিল শরীফ (৩৪), খ ম হাসান ইমাম ওরফে বিদ্যুৎ (৪৭), আব্দুল্লাহ আল শহীদ (৪১), রেজাউল ইসলাম (৩৮) ও শাহ জামান (৩৯)।
 
এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, এই চক্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের অধস্তন কয়েকজন কর্মচারী জড়িত। আমরা বিষয়টি এনআইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ইতোমধ্যে ৪৪ জনকে বরখাস্ত করেছে।
 
পুলিশ জানায়, একটি ফ্ল্যাটের নামে ৮৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ব্যাংকের পক্ষে গত বছরের ৭ ও ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর খিলগাঁও এবং পল্টন থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। মামলা দুটির তদন্ত ভার পায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, একটি পেশাদার প্রতারক চক্র ভুয়া এনআইডি, ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতারণায় জড়িত বিপ্লব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিপ্লব জানান, প্রতারণায় নির্বাচন কমিশনের অধস্তন কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। তাদের সহযোগিতায় সার্ভারে সাময়িক সময়ের জন্য এনআইডির তথ্য আপলোড করা হতো। ঋণ দেওয়ার জন্য এনআইডি’র তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ হলে সার্ভার থেকে আবার মুছে ফেলা হতো।
 
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১ মার্চ বিপ্লব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিপ্লবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল প্রথমে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আল আমিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
 
হাফিজ আক্তার আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, আমরা এসব বিষয়ে তদন্ত করছি। এনআইডি’র অসাধু কর্মচারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

14h ago