পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন: আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসে বিরোধ

West Bengal alliance
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সমাবেশে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী (বাম থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে থেকে নেওয়া।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফুরফুরা শরীফের আব্বাস সিদ্দিকীর নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট’ (আইএসএফ)। এ নিয়ে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা আইএসএফকে ‘সাম্প্রদায়িক দল’ হিসেবে অভিহীত করে দলটির সঙ্গে জোট করার বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আইএসএফ কিংবা এ ধরনের দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মূল আদর্শের পরিপন্থী। গান্ধী ও নেহেরুর কংগ্রেসের প্রাণ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’। এই বিষয়গুলো কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আগে আলোচনা করা উচিত ছিল।’

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গিয়ে কংগ্রেস কখনো বাছবিচার করতে পারে না। আমাদের অবশ্যই সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস প্রধানের উপস্থিতি এবং সমর্থন লজ্জাজনক, তাকে (অধীর চৌধুরী) তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে।’

অধীর চৌধুরী এর জবাবে জানিয়েছেন, তিনি কখনই দিল্লিতে তার নেতাদের সমর্থন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

দিল্লি থেকে অসন্তোষ জানানোর পর অধীর চৌধুরীসহ পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের নেতাদের অনেকেই মুসলিম আলেম আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ভাইজান’ হিসেবে জনপ্রিয় আব্বাস সিদ্দিকী হুগলি জেলার ফুরফুরা শরীফের আলেম। বামপন্থিরা আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে মনে করে না।

সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাচ্ছে। ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে টানা দুই মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কংগ্রেস ও তৃণমূলের ‘সাধারণ শত্রু’ বিজেপির সামনে এখনো পর্যন্ত শক্তিশালী বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একমাত্র মমতাই।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। করোনা মহামারির কারণে এবার আট দফায় ভোটগ্রহণ চলবে। আগামী ২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শেষ হবে এবং ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মে।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

6h ago