খালেদার দণ্ড মওকুফ নিয়ে সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ এবং জামিনের শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জামিনের শর্ত শিথিলের পাশাপাশি সাজা মওকুফের বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পর আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন জমা দেন।
আবেদনের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে খালেদার চিকিত্সার ব্যবস্থা করা যায়নি বলে আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন। জামিনের শর্ত শিথিল ও দণ্ড মওকুফ করা যায় কিনা সেটা সম্পর্কে তারা জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তাদের মতামত জেনে আমরা আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী। তিনি যখন দেখেন এ রকম অবস্থা, তখন সবসময় সহযোগিতা করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে (খালেদা জিয়াকে) শর্তসাপেক্ষে বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।’
খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে পরিবারের অনুরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সবসময়ই তার চিঠিতে রেফারেন্স হিসেবে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু, উনি (খালেদা জিয়া) তো এখনও কারাগারেই আছেন। এখন কারাগার হিসেবে তার বাড়িতে আছেন।’
কারাগারে থাকাকালে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিত্সা পেয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তিনি (খালেদা) যেহেতু আর্থ্রারাইটিসে ভুগছেন, তাই নড়াচড়ার জন্য তার কাউকে প্রয়োজন। জেলে যাওয়ার আগেও তার এ অসুবিধা ছিল।’
এ বিষয়গুলো বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী তার জন্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা কারাগারে থাকাকালে বিএসএমএমইউ এর তার মনোনীত চিকিৎসকরা গিয়েছিল। এখানে বাসায় যে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার মনোনীত চিকিৎসকই সেবা দিচ্ছেন।’
Comments