নির্যাতন করা হয়েছে, এখন হাসপাতালে যাচ্ছি: কিশোর
‘মাত্র কারাগার থেকে বের হয়েছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাব। তবে, হাসপাতালে যাওয়ার আগে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করে, পরামর্শ করে, তারপর হাসপাতালে যাব।’
হাসপাতালে কেন, বাসায় যাবেন না?
‘আমি তো বাসায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। গ্রেপ্তারের পর আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। বাম পায়ে এখনো ব্যথা। ভালোমতো হাঁটতে সমস্যা হয়। দাগ রয়ে গেছে। আমার কানে আঘাত করা হয়েছে। এখনো কান থেকে পুঁজ বের হচ্ছে। শুনতে অসুবিধা হয়।’
কারাগারে চিকিৎসা পাননি?
‘কী বলব! আমার অল্প ডায়াবেটিস ছিল। কারাগারে অব্যবস্থাপনার মধ্যে থেকে, চিকিৎসা না পেয়ে সুগার লেভেল অনেক বেড়ে গেছে। শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছি। এখন বড় ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাচ্ছি।’
যার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তার নাম আহমেদ কবির কিশোর। কার্টুনিস্ট কিশোর। তার বড় ভাই লেখক আহসান কবিরের মোবাইল ফোন ধরে নিজে থেকেই বললেন, ‘আমি কিশোর’।
কার্টুন আঁকার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তি পেয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার আবদুল জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আহমেদ কবির কিশোরের জামিন সংক্রান্ত নথি আজ সকাল ১০টার দিকে কারাগারে পৌঁছায়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় মাসের জন্যে কিশোরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
১০ মাস পর মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
অবশেষে জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ: সেশন কোর্টে আবেদন করার নির্দেশ
কার্টুনিস্ট কিশোরের রিমান্ড নামঞ্জুর
মুশতাকের মৃত্যুর পর কিশোরের জীবন নিয়ে শঙ্কা
কার্টুনিস্ট কিশোরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের
কারাবন্দি কার্টুনিস্ট কিশোর পেলেন রবার্ট রাসেল কারেজ অ্যাওয়ার্ড
কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক গ্রেপ্তার
কিশোর ও মুশতাকের জামিন শুনানিতে অপরাগতা জানিয়েছেন ভার্চুয়াল আদালত
Comments