বাতাসের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলন সেশন
নিউজিল্যান্ডে সাত দিনের কড়া কোয়ারেন্টিনে বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। দ্বিতীয় দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর অষ্টম দিন থেকে মিলল মাঠের অনুশীলনের সুযোগ। ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম সেশনে ফিল্ডিংকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। অনুশীলনে মাথায় রাখা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের তীব্র বাতাসের চিন্তা।
বৃহস্পতিবার অনুশীলনে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে এক গ্রুপে ছিলেন সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শেখ মেহেদী হাসানরা। লিঙ্কন ইউনিভার্সিটির মাঠে চলে তাদের মুক্ত বাতাসে প্রস্তুতি। অন্য গ্রুপে অনুশীলনে দেখা যায় মুশফিকুর রহিমদের।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ব্যাটিং, বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংও বেশ চ্যালেঞ্জের। এর আগে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্যাচ হাত ফসকে যাওয়ায় ভুগেছে বাংলাদেশ। তীব্র বাতাসের কারণে অনেক সময়ই বলের ফ্লাইট বোঝা হয়ে যায় দুষ্কর। অনুশীলন সেরে সাইফুদ্দিন জানান, ওই চিন্তা থেকেই প্রথম দিন অনুশীলনে গুরুত্ব পেয়েছে ক্যাচিং, ‘আজ অনুশীলনে আমরা ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কাজ করেছি। হাই ক্যাচিং নিয়ে। কারণ এখানে আবহাওয়া এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে। এটা মানিয়ে নেওয়ার জন্যই (বিশেষ ফিল্ডিং সেশন)।’
ফিল্ডিং অনুশীলনের আগে রানিং করেছেন ক্রিকেটাররা। পরে হালকা ব্যাটিং বোলিং সেরে ইতি টানেন প্রথম দিনের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলেও জয়শূন্য বাংলাদেশ। সাইফুদ্দিন জানালেন এবার অন্তত সেই খরা কাটাতে মরিয়া তারা। বিশেষ করে ওয়ানডে নিয়ে বেশ আশাবাদি শোনালো এই অলরাউন্ডারের কন্ঠ, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে কারণ ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভাল দল। যদি আমরা সবাই ভাল খেলতে পারি তাহলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিও আছে। যেহেতু আমাদের প্রাপ্তির খাতা (নিউজিল্যান্ডে) একদম শূন্য কাজেই চেষ্টা থাকবে এই সিরিজ থেকে যেন কিছু (সাফল্য) দেশে নিয়ে যেতে পারি।’
Comments