বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে রংপুরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে রংপুরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।

এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে ক্যাম্পাসে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকায় বসে মিথ্যাচার, শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

ঢাকায় উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করা হয়েছে দাবি করে তার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এই সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বেরোবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ভিসি হয়েও অনুপস্থিতি থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছে মতো পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক পদ দখল, ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, চরম শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ায় আজ তিনি ঢাকায় বসে মিথ্যাচার করেছেন। আমরা তার দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর পর অভিযোগ করেছি। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলনে আগের উপাচার্যের দোষ দিচ্ছেন। তাহলে দুই বছরে তিনি কী করলেন? তার সময়েই তো নকশা পরিবর্তনসহ যত দুর্নীতি হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভরিয়ে ফেলেছেন। নিজের কাছের লোক দিয়ে যতসব অনিয়ম করেই চলেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন৷ স্পিকারসহ সরকারের কর্তাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। এমনকি ইউজিসি বিষয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। সরকারের উন্নয়নসহ সবকিছুর বিষয়েই তিনি বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। অতিসত্বর এসব মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো আমরা।’

‘উপাচার্যের মদদে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে এবং উপাচার্য নিজেও আইন অমান্য করে চলছেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ পড়াশুনার পরিবেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের শাস্তিসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হোক।’

এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি এইচ এম তরিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড আব্দুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বেরোবি উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছিলেন, তার নামে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।

আরও পড়ুন: 

বেরোবির উপাচার্য কলিমুল্লাহর বক্তব্য অসত্য: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

একজন নিখোঁজ উপাচার্য

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago