চাকরি হারিয়ে সোনা চোরাচালানে যুক্ত হন হেলাল

জীবিকার অন্বেষণে ২০১১ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমান হেলাল। সেখানে গিয়ে কাজ নেন একটি কোম্পানিতে।

জীবিকার অন্বেষণে ২০১১ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমান হেলাল। সেখানে গিয়ে কাজ নেন একটি কোম্পানিতে।

কয়েক বছর পর চাকরি হারিয়ে হেলাল হাত মেলান সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে। দুবাইয়ে বেকার জীবন কাটালেও উড়োজাহাজের সিটের নিচে কৌশলে সোনা পাচার করে নিয়ে আসতেন বাংলাদেশে। আর তাতেই ‘ভাগ্যের চাকা’ ঘোরে ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের তিনটি সিটের নিচে ১৬০টি সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হেলালকে গ্রেপ্তার করলে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম হোসেন মো রেজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন হেলাল।

নগরীর ষোল শহর দুই নম্বর গেট থেকে বুধবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেলালকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি ফটিকছড়ির ফতেহপুর এলাকার শামশুল আলমের ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হেলাল ৪০টি সোনার বার হাত ব্যাগে নিয়ে দুবাই বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ বিমানের সেই ফ্লাইটে উঠেছিলেন।’

‘প্লেনে ওঠার পর সোনার বারগুলো তিনি সিটের নিচে টেপ দিয়ে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু হস্তান্তরের আগেই কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে সোনার বারগুলো ধরা পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি,’ বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘দুবাই থেকে তার সঙ্গে আরও চার থেকে পাঁচ জন ১৬০টি সোনার বার ভাগ করে বিমানে উঠেছিলেন। এই চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago