শ্রীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন: নিহত ১

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪২ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তির নাম মাসুম সিকদার (২৩)। তিনি ওই কারখানার ওয়েল্ডিং অপারেটর। মাসুম ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার চর কুসুমহাটি গ্রামের সূর্য সিকদারের ছেলে।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিয়া রাজ দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে পোশাক কারখানার ভেতরে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আধাঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ দগ্ধ না হলেও ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. কে এম রাজমুল আহসান জানান, কারখানার কমপক্ষে ৪২ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১০ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অসুস্থদের দেহে দগ্ধের আলামত পাওয়া যায়নি। ধোঁয়ায় শ্বাসনালী ও দেহের ভেতরে ইঞ্জুরি হয়ে থাকতে পারে।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরে বের হতে চাইলে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। শ্রমিক-কর্মচারীরা আগুন নেভাতে গিয়ে কেমিক্যালের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দিতে বাধ্য হয়।

দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলামের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৭৫) বলেন, তার দুই নাতি মনির হোসেনের ছেলে ইউসুফ (৩২) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩০) ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে কাজ করেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও সকালে তারা কারখানায় গেছেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কারখানার স্যাম্পল শাখার শ্রমিক আবু হানিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি আগুনের ভেতরে একজনকে পড়ে যেতে দেখেছি। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে।’

তবে মো. মিয়া রাজ আরও বলেন, আমরা কোনো মরদেহ পাইনি।

অগ্নিকাণ্ডের পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। টেলিফোনে চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক জানান, আগুন নেভানোর পর ক্যামিকেলের গুদাম থেকে মাসুম সিকদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ক্যামিকেলের গ্যাসে দম আটকে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

শ্রীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন, ধোঁয়ায় অসুস্থ ২২

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago