‘স্মিথ চাইলে তারই অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত’

টিম পেইনের বিদায়ের পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হবেন কে? বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উসমান খাওয়াজা জানিয়েছেন নিজের পছন্দের কথা।
steven smith
ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

টিম পেইনের বয়স ৩৬ ছাড়িয়েছে। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের পর প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার নেতৃত্ব। ঘুরেফিরে তাই উঠে আসছে পুরনো প্রসঙ্গ। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হবেন কে?

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উসমান খাওয়াজা জানিয়েছেন নিজের পছন্দের কথা। আপাতত অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটারের মতে, স্টিভ স্মিথকে নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

টানা তিন বছর সাফল্যের সঙ্গে অজিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্মিথ। কিন্তু ২০১৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কালিমা লেগে যায় তার গায়ে। বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে তিনি নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে বাড়তি এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছিল তাকে।

গত বছরের ২৯ মার্চ স্মিথের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করতে আর বাধা নেই বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) তাই ফের অধিনায়ক বানাতে পারবে স্মিথকে।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দলের অধিনায়ক খাওয়াজা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্মিথ যদি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হতে চায়, তবে আমার মনে হয়, তারই অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’

নিষেধাজ্ঞা শেষের পর স্মিথকে টেস্ট কিংবা সীমিত ওভারের কোনো সংস্করণেই এখনও অধিনায়ক হিসেবে দেখা যায়নি। তার অতীত কৃতকর্ম কিছুটা হলেও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় রাশ টানছে। তবে খাওয়াজা মনে করছেন, নানা কারণে স্মিথই এই দায়িত্বের জন্য সবচেয়ে যোগ্য, ‘সে আমাদের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। সে আগে এটা (অধিনায়কত্ব) করেছে। তার ভুলের জন্য সে শাস্তি ভোগ করেছে। যদি সে চায় তবে তার অধিনায়কত্বের জন্য বিবেচনায় না থাকার কারণ কোনো নেই।’

স্মিথের নিষেধাজ্ঞার পর অজিদের হাল ধরেন পেইন। অধিনায়কত্ব বেশ ভালোভাবে উপভোগ করছিলেন তিনি। তার অধীনে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ ধরে রাখে দলটি। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্নদিকে মোড় নেয় কিছুদিন আগে।

খর্বশক্তির ভারতের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে অস্ট্রেলিয়া। তা-ও আবার ঘরের মাঠে। তাই নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার কাঁটায় বিদ্ধ হন পেইন। তবে তার পাশে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হনস। তিনি সেসময় জানিয়েছিলেন, পেইনের নেতৃত্ব নিয়ে ‘কোনো সংশয় নেই’।

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সম্ভাব্য পরবর্তী অধিনায়কের তালিকায় আছে আরও দুটি নাম। তারা হলেন পেসার প্যাট কামিন্স ও ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন। কামিন্স সাদা পোশাকের দলের সহ-অধিনায়ক। রাজ্য দল নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্বও তিনি পেয়েছেন সম্প্রতি। তরুণ লাবুশেনের অবশ্য পেশাদার ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার নজির নেই।

তা গোটা বিষয় নিয়ে স্মিথের ভাবনা কী? গত মাসে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার মেডেল জেতার পর তিনি বলেছিলেন, আপাতত তার চিন্তার জগতে অধিনায়কত্বের স্থান নেই এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তার উপর নির্ভর করছে না।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-led interim govt takes charge

2 months of interim govt: Hopes still persist

The interim government had taken oath two months ago with overwhelming public support and amid almost equally unrealistic expectations.

2h ago