করোনাকালে ৫০ হাজার নারীকর্মী দেশে ফিরেছেন: ব্র্যাক
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বিশ্বের ২১টি দেশ থেকে ৪৯ হাজার ৯২৪ নারীকর্মী দেশে ফিরেছেন। এছাড়া, ২০১৬ থেকে গত পাঁচ বছরে দেশে ফিরেছে ৪৮৭ নারীকর্মীর মরদেহ।
আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে আজ শনিবার ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, ১৯৯১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নয় লাখ ২৪ হাজার ৪১৫ জন নারী কাজের উদ্দেশে যান। তবে, এ পর্যন্ত ফিরে আসা নারীকর্মীদের তথ্য পাওয়া যায়নি।
ব্র্যাক জানায়, করোনাকালে ২১টি দেশ থেকে ফেরত আসা নারীকর্মীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন ২১ হাজার ২৩০ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১ হাজার ৬০২ জন, কাতার থেকে চার হাজার ৮২৬ জন, ওমান থেকে তিন হাজার ২০৯ জন, লেবানন থেকে দুই হাজার ৯১০ জন, জর্ডান থেকে দুই হাজার ২৫৯ জন এবং তুরস্ক থেকে এক হাজার ২৯ জন।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে ৪৮৭ জন নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। এর মধ্যে, ২০১৬ সালে ৫৭ জন, ২০১৭ সালে ১০২ জন, ২০১৮ সালে ১১২ জন, ২০১৯ সালে ১৩৯ জন এবং ২০২০ সালে ৭৭ জন নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। ১১টি দেশে মারা যাওয়া এই নারীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ১৯৮ জন, জর্ডান থেকে ৮৮ জন, লেবানন থেকে ৭১ জন, ওমান থেকে ৫৩ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩৯ জন ও অন্যান্য দেশ থেকে ৩৮ জন নারীর মরদেহ দেশে এসেছে।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে বাংলাদেশি নারী আবিরনকে হত্যার ঘটনায় এক সৌদি নাগরিকের ফাঁসির রায় দিয়েছে দেশটির আদালত।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘গত আড়াই বছরে ফেরত আসা নারীকর্মীদের মধ্যে দুই হাজার ৬৪৫ জনকে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক জরুরি সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া ফেরত আসা ২০০ নারী ব্র্যাকের সহায়তায় ছোট ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।’
‘করোনাকালে ফেরা বিপুল সংখ্যক নারীর পুনর্বাসন কিংবা বিদেশে থাকা নারীদের সংকট সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে,’ বলেন তিনি।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি ‘নারী অভিবাসন নীতিমালা’ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে। এছাড়া, বিদেশে নারীকর্মী পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে যথাযথ মনিটরিং করাসহ অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনার দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি।
Comments