সুনামগঞ্জে বিজিবির গুলিতে ‘গরু চোরাকারবারি’ নিহত
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় কামাল মিয়ার নামে এক ব্যক্তি বিজিবি সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কামাল নামে ওই ব্যক্তি একজন গরু চোরাকারবারি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় কামাল মিয়ার নামে এক ব্যক্তি বিজিবি সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কামাল নামে ওই ব্যক্তি একজন গরু চোরাকারবারি।
আজ রোববার সকালে ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে আজ মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
কামাল মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার ইসলামপুর উত্তরপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আওয়াল।
বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, কামাল মিয়ার গরু চোরাকারবারিতে জড়িত ছিলেন। গতকাল বিকেলে বনগাঁও সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় কামাল এবং তার সহযোগীরা বিজিবির টহল দলের মুখোমুখি হয়ে যায়। সে সময় তারা ধারালো অস্ত্র হাতে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি দুই রাইন্ড গুলি ছোড়ে। এতে কামালের পিঠে গুলি লাগে। চোরাকারবারিদের হামলায় ল্যান্স নায়েক থুই হোলা মং মারমা আহত হয়েছেন। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবির এই বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন কামালের স্বজনরা। তারা বলেন, কামালের নিজের গরু সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল। সেই গরু নিয়ে কামাল ফিরছিলেন। রাজীব আহমেদ নামে কামালের এক স্বজন বলেন, ‘গরু নিয়ে ফেরার সময় বিজিবি সদস্যরা কামালকে আটক করেন। তারাই দাবি করেন, কামাল চোরাকারবারি। এক পর্যায়ে তারা গ্রামবাসীদের দিকে গুলি চালান। এতে কামালের পিঠে গুলি লাগে। আমরা তাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম আরও বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছেন। গরু চোরাকারবারিদের হামলায় আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবি চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
Comments