ঝড়ো ফিফটিতে নায়ক শামীম

রুহান প্রিটোরিয়াসের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পূঁজি পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড উলভস। রান তাড়ায় জুতসই শুরুর পর মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটি গড়ে দেয় লড়াইয়ের ভিত। তবে এক পর্যায়ে দ্রুত উইকেট হারালে বেড়েছিল হারের শঙ্কা। দলের বিপদে পড়া অবস্থা থেকে কাণ্ডারি হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তার ঝড়ো ফিফটিতে আইরিশদের হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৪ উইকেটে হারায় ইমার্জিং দল। এতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। দলকে জিতিয়ে শামীম অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বলে ৫৩ রানে। জয় করেন ৯৫ বলে ৬৬ রান।
শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন শামীমই। তবে টেল এন্ডার হিসেবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সুমন খান। নিয়মিত প্রান্ত বদল করে শামীমকে স্ট্রাইক দিয়ে গেছেন তিনি। প্রিটোরিয়াসের করা ৪৮তম ওভার থেকে শামীমের এক ছক্কা আর পাঁচ সিঙ্গেলে আসে ১১ রান। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৩ রানের।
জশ লিটলের ৪৯ তম ওভারে স্কুপ থেকে চার, লেগ স্টাম্পের বাইরে পাওয়া ফুলটস থেকে ছয়ে শামীম আনেন আরও ১৪ রান। ৩৭ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। তখনই দুলতে থাকা ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।
শেষ ৬ বলে চাই ৯ রান । স্ট্রাইকরে থাকা সুমন প্রথম বলেই এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মেরে দেন বাউন্ডারি। স্ট্রাইক পেয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারা শামীমকে তাই আর তেমন কিছু করতেই হয়নি। দুই বল আগেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।
২৬৪ রানের লক্ষ্যে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম নেমেছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সাইফ হাসানের সঙ্গে তাই তার উদ্বোধনী জুটি ৪৪ রানের বেশি হয়নি। ১৮ বলে ১৭ করা তানজিদকে ফেরান করোনা রিপোর্টে খবরে আসা প্রিটোরিয়াস।
দ্বিতীয় উইকেট জুটি জমে উঠতেই আলগা হয়ে যায়। ৫৩ বলে ৩৬ করা অধিনায়ক সাইফকে ছাঁটেন শেন গ্যাটকেট। এরপর ম্যাচ জেতানো জুটিতে ভিত যায় ইমার্জিং দল। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে দলকে শক্ত অবস্থানের দিকে নিয়ে যান জয়। জুটিতে বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন ইয়াসির। রানরেটের চাপটা হালকা হচ্ছিল তার ব্যাটেই। ৭৭ রানের জুটির পর থিতু হয়ে ইয়াসির ফেরেন ৩১ রান করে। তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে আরেক ছোট জুটি পান জয়। তুলে নেন ফিফটি। বেন হোয়াইটের লেগ স্পিনে শেষ হয় তার ৯৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। এরপর হৃদয় আর রান আউটে কাটা পড়ে আকবর আলি দ্রুত ফিরে গেলে ম্যাচ হারার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। ওভারপ্রতি ১০ রান করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ চলে এসেছিল শামীমের সামনে। শেষ পর্যন্ত তিনিই পার করেন কঠিন পথ।
টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে দারুণ শুরু পায় আয়ারল্যান্ড উলভস। দুই ওপেনার রুহান প্রিটোরিয়াস আর জেমস ম্যাককুলাম মিলে দলকে এনে দেন শক্ত ভিত। চমৎকার বোঝা পড়ায় ৮৮ রানের জুটি আসে তাদের। প্রথম ম্যাচে এই প্রিটোরিয়াসের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। আলাদা করে ফেলা হয়েছিল প্রিটোরিয়াসকে। রোববারই নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে খেলতে নেমে আইরিশদের সেরা পারফর্মার তিনিই।
দ্বিতীয় উইকেটেও স্টিফেন ডোহানির সঙ্গে আনেন ৮৫ রান। সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন তিনি। রাকিবুল হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে একদম নব্বুই রানে পৌঁছে ফেরেন এই পেস অলরাউন্ডার। শেষ দিকে শেন গ্যাটকেট আর গ্যারেথ ডেনলির ব্যাটে আড়াইশ ছাড়ায় আয়ারল্যান্ড উল্ভস।
Comments