সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় যুবলীগ সদস্য গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Belal Hossain.jpg
চরফকিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বেলাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেপ্তারকৃত বেলাল হোসেন (৩০) চরফকিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে বসুরহাট বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেলাল হোসেন চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তাকে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় মুজাক্কিরের বড় ভাই নুর উদ্দিন সন্তোষ প্রকাশ করে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুরহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় তিনি প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি। বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

তবে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন মামলার তদন্তকারী পুলিশের এ কর্মকর্তা।

পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, ‘সংঘর্ষ চলাকালে চাপরাশিরহাট বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে বেলালের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মুঠোফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আজ দুপুরে বসুরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে। তবে কত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৯ জন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। গুলিবিদ্ধ মুজাক্কিরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ওই রাতেই প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।

এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:

নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যায় বাবার মামলা

কার গুলিতে মারা গেলেন সাংবাদিক মুজাক্কির?

কোম্পানীগঞ্জে নিহত সাংবাদিক মুজাক্কিরের দাফন সম্পন্ন

সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

কোম্পানীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মুজাক্কির মারা গেছেন

কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ, আহত অর্ধশত

Comments

The Daily Star  | English

The morale issues of Bangladesh Police

There is no denying that for a long time, the police have been used as a tool of repression in the subcontinent

3h ago