চাঁদপুরে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ‘চেরি টমেটো’ চাষ
আঙুরের মতো থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা ‘চেরি টমেটো’ এখন চাষ হচ্ছে চাঁদপুরের সেই পরিত্যক্ত ভাটায়। ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’র একটি নতুন আকর্ষণ এটি। বিদেশি নানা ফলের পাশাপাশি এই সবজি চাষ করা হচ্ছে এখানে।
‘ম্যাগলিয়া রোসা’ নামের চেরি টমেটোর পুষ্টিগুণ বেশি বলে দাবি করছেন চাষিরা।
পরিত্যক্ত ভাটার মালিক হেলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফ্রুটস ভ্যালিতে হলুদ ও লাল রংয়ের ম্যাগলিয়া রোসার বাম্পার ফলন হয়েছে। টমেটোর মতো কাঁচা খাওয়া যায় এই চমৎকার চেরি। এটি শীতপ্রধান দেশের ফসল হলেও এদেশের আবহাওয়ায় এতো ভালো ফলন হবে তা ভাবতেও পারিনি।’
এর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে গেলে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। হেলালের মতে, ‘এটি অতি উচ্চ ফলনশীল সবজি। দীর্ঘ সময় এর ফলন পাওয়া যায়। সহজে পচন ধরে না। বাজারে ব্যাপক চাহিদার কারণে এর চাষ কৃষকদের লাভবান করতে পারে।’
হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ফ্রুটস ভ্যালিতে উচ্চ ফলনশীল চেরি টমেটোর পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে। বর্তমানে ঢাকার সুপারশপগুলোতে আমদানি করা এই চেরি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি দরে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ইতালি থেকে এর বীজ আনা হয়েছে। বেলে মাটিতে শীতকালে চেরি টমেটোর চাষ করা হলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।’
হেলাল উদ্দিনের চাষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি পরীক্ষামূলকভাবে চেরি টমেটোর চাষ করে সফল হয়েছেন। গত দুমাসে তিনি ফসল তুলেছেন, আরও দুমাস তুলতে পারবেন। একটি গাছ থেকে সাত থেকে আট কেজি ফসল পাওয়া সম্ভব। বিদেশ থেকে আমদানি করা এই সবজি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। হেলাল উদ্দিন বিক্রি করছেন ৩৫০ টাকা কেজি দরে।’
‘দেশে চেরি টমেটোর বেশ চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলে এই সবজির আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে,’ বলে যোগ করেন তিনি।
Comments