সংকট অজস্র তবু খেলাধুলায় এগুচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা

ছেলেদের তুলনায় সুযোগ সুবিধা আর অংশগ্রহণে অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও আছে প্রেরণা পাওয়ার মতো ইতিবাচক দিক।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশ গেমসে মুখোমুখি বাংলাদেশ নীল ও সবুজ দল। ছবি: বিসিবি

খেলাধুলায় বাংলাদেশের মেয়েদের গল্পটা সংগ্রামের, নানাবিধ বাধা বিপত্তির। তবু সব সামলে শক্তভাবেই এগিয়ে চলেছেন তারা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে শূন্য থেকে শুরু করে খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ আর সাফল্য এখন বেশ  উল্লেখযোগ্য

ছেলেদের তুলনায় সুযোগ সুবিধা আর অংশগ্রহণে অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও আছে প্রেরণা পাওয়ার মতো ইতিবাচক দিক।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল বেশ সীমিত। ৫০ বছরে সেই ছবি বদলেছে অনেকটা। এখন সব ধরনের খেলাধুলাতেই বাড়ছে মেয়েদের অংশগ্রহণ। ক্রিকেটে যেমন আগে জাতীয় দল বানাতেই হিমশিম খেতে হত। এখন ইমার্জিং দল, বয়সভিত্তিক দলও তৈরি করা যাচ্ছে। ফুটবলেও বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই বেড়েছে নারী ফুটবলারের সংখ্যা। 

হ্যান্ডবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, আর্চারি, ভারোত্তোলন, ফুটবল বা ক্রিকেট-বাংলাদেশের মেয়েরা সব খেলাতেই এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাখছে ছাপ।

বেশিরভাগ খেলাধুলাই বিভিন্ন ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে। মেয়েদের খেলাধুলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ফুটবল ফেডারেশনের আছে বড় ভূমিকা। ক্রিকেট ও ফুটবলে জাতীয় দল থেকে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আছে কাঠামো।

কিন্তু পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার দিক থেকে এখনো ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশ পিছিয়ে। এই নিয়ে আছে সমালোচনাও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের তুলনায় সালমা খাতুন, জাহানারা আলমদের কদর পৃষ্ঠপোষকদের কাছেই বেশ কম।

অথচ সর্বোচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে  বাংলাদেশের প্রথম কোন ট্রফি এসেছে মেয়েদের হাত ধরেই। বাংলাদেশ পুরুষ দলের আগেই ২০১৪ সালের এশিয়া কাপ জিতে দেখিয়েছে নারী ক্রিকেট দল।

বয়সভিত্তিক ফুটবলে বিগত কয়েক বছরে যেন বিপ্লবই হয়েছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের নারী ফুটবলারদের হাত ধরে এসেছে বড় সাফল্য। ভারত্তোলনে মাবিয়া আক্তার তো দেশকে সাফল্য এনে অশ্রুজলে ভেসে হয়েছিলেন আলোচিত।

নারী ক্রীড়াবিদদের মতে এই সাফল্য আরও নিয়মিত হবে যদি চালু রখা যায় নিয়মিত খেলা। উঠে আসার পথ করা যায় যদি সুগোম।  তাদের খেলায় ধরে রাখতে হলে দরকার নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতাও।

নারী ক্রিকেট দলের জাহানারা আলম, সালমা খাতুনরা মনে করেন, ক্রিকেটে নারীদের অবস্থা আগের চেয়ে এখন বেশ ভালো। আর্থিক দিক যুক্ত হওয়ায় বদলেছে পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের মত অন্য খেলার নারীদেরও যেন দেওয়া হয় সমান সুবিধা।  ছেলেদের মতো বছর জুড়ে মাঠের খেলা চালু রাখার দাবি তাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago