উচ্ছেদের পরেও চলছে অবৈধ দুই ইটভাটা

লালমনিরহাট পৌরসভার পূর্ব সাপ্টানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক উচ্ছেদকৃত সান ব্রিক্স ও স্যার ব্রিক্স নামে দুটি অবৈধ ইটভাটা এখনো পুরোদমে চলছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ইটভাটা দুইটি উচ্ছেদ করে। এক সপ্তাহের মধ্যে সকল ধরনের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া নির্দেশও দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাট পৌরসভার পূর্ব সাপ্টানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক উচ্ছেদকৃত সান ব্রিক্স ও স্যার ব্রিক্স নামে দুটি অবৈধ ইটভাটা এখনো পুরোদমে চলছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ইটভাটা দুইটি উচ্ছেদ করে। এক সপ্তাহের মধ্যে সকল ধরনের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া নির্দেশও দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু, ইটভাটার মালিকরা আইনকে তোয়াক্কা না করে উচ্ছেদকৃত অংশ পুনরায় মেরামত করে পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এই দুই ইটভাটার কার্যক্রম।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, গেল দুই যুগ ধরে পৌর এলাকায় কৃষি জমির ওপর ইটভাটা দুটি অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো ফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইটভাটা দুটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ভেঙে ফেলা হয় ইটভাটা দুটির কিছু অংশ। কিন্তু, ইটভাটা দুটি পুনরায় পুরোদমে পরিচালিত হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

কৃষক জোবেদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইটভাটা দুটি স্থাপনের পর থেকে আমরা জমি থেকে আশানুরূপ ফসল পাচ্ছেন না। অবৈধ ইটভাটা দুটি উচ্ছেদের খবরে তারা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু, ইটভাটা দুটি এখনো পুরোদমে পরিচালিত হওয়ায় আমরা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়ছি। ইটভাটা দুটি সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা না হলে আমরা জমিতে আশানুরূপ ফসল উৎপাদন করতে পারব না।’

স্যার ব্রিক্সের মালিক এন্তাজুর রহমান ও সান ব্রিক্সের মালিক আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেজবাবুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা দুটি অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইটভাটা দুটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। সকল ধরনের স্থাপনা ও মেশিন নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল ইটভাটা দুটির মালিককে। তারা যদিও এখনো কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, তাহলে শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া’, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago