নিউজিল্যান্ডের ফর্মের কথা মাথায় আনতে চান না মাহমুদউল্লাহ

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড বরাবরই প্রবল প্রতিপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরে-বাইরে মিলিয়েই তারা আছে দারুণ ছন্দে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা পাঁচ সিরিজ জিতেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। সর্বশেষ তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানান, কিউইদের সেরা অবস্থার খবর রাখলেও তা মাথায় এনে চাপ বাড়াতে চায় না বাংলাদেশ। 

২০ মার্চ স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের সিরিজ। এরপরে  আছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টিতে তো অধিনায়কই, ওয়ানডেতেও দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।

সোমবার অনুশীলন সেরে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বোঝার পরিস্থিতিটা তাদের জন্য এমনিতেই কঠিন। এরমধ্যে প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত ছন্দ মাথায় নিলে বেড়ে যায় চাপ, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সব সময় চ্যালেঞ্জিং। আমাদের জন্য সহজ হবে না। দল হিসেবে আমাদের পারফর্ম করতে হবে তিন বিভাগেই।’

‘নিউজিল্যান্ড দল খুব ভাল ছন্দে আছে। মাত্রই অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল। ওই জিনসগুলো মাথায় না এনে আমাদের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলোর দিকে তাকালে আমাদের খেলার জন্য ভাল হবে। আমি মনে করি যে আমাদের  ক্রিকেট খেলার মন মানসিকতা থাকলে ইনশাল্লাহ আমরা ভাল করব।’ 

ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহর প্রথম লক্ষ্য উইকেট বোঝা এবং এরসঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, আর সেটা করতে পারলেই ভাল ফল আসবে,  ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব উইকেটটা বোঝার চেষ্টা করি। উইকেটের বাউন্সটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি কারণ এ সমস্ত উইকেটে বাউন্সটা বরাবরই (বেশি) থাকে। তো উইকেটে  গতিটা কেমন ওটা ধরা দরকার। বেসিক ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের মৌলিক কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারলে ফল ভাল হবে।’

বোলারদের জন্যও কাজটা বেশ দুরূহ দেখছেন তিনি। তার মতে লেন্থের গুরুত্ব নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি,  ‘বোলারদের আমার কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মনে হয় ওদের প্রয়োগের ধাপটা কোন জায়গায় আছে। ওটা নিশিত করা।  তাদের ফ্রেম অফ মাইন্ড কেমন ওই জিনিসটা দেখা। কারণ এখানে লেন্থের ব্যাপারটা খুব জরুরি। কারণ লেন্থের একটু বেখেয়াল হলে হয়তবা বাউন্ডারির সুযোগ বেড়ে যায়। আমাদের খেয়াল রাখতে  হবে সহজে বাউন্ডারি যেন না দেই। এবং প্রপার লাইন  লেন্থে ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি।’

২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে কঠোর কোয়ারেন্টিনে আছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ধাপে নিজেদের কক্ষেই আবদ্ধ থাকতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে মেলে জিম ও মাঠে দুই ঘণ্টা করে অনুশীলনের সুযোগ। আর একদিন পর আরেক দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেই মুক্ত হবেন ক্রিকেটাররা। এরপর আর কোন বলয়ে থাকতে হবে না। করতে পারবেন অবাধে চলাফেরা।

মাহমুদউল্লাহ জানালেন, সব সুবিধা চমৎকার থাকায় এখন পর্যন্ত সময়টা বেশ উপভোগ্য, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা অনুশীলন করতে পারছি, উইকেটগুলোও খুব ভালো। যে দুই ঘণ্টা আমরা সময় পাচ্ছি পুরোটা সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। উপভোগ করছি। আর একটা দিন কোয়ারেন্টিনের আছে। দোয়া করছি যেন সবার ফল নেগেটিভ আসা তাহলে সবাই বাইরে যেতে পারব।’

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

10h ago