প্রকল্পে দুর্নীতি-ভুয়া নিয়োগপত্র: বেরোবির ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
প্রকল্পে দুর্নীতি ও চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে অনুষ্ঠিত ৭৭তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তাদের মধ্যে প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বেরোবির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে। ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার ডকুমেন্টেস ও অন্যান্য কাগজপত্রে অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আর ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লেনদেনের ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ ও বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাটকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জাল নিয়োগপত্র দেখিয়ে এক চাকরি প্রার্থীর কাছে ১৩ লাখ টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাট এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে দেখা যায়।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ-উল-হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত তিন জনকে বরখাস্তের সুপারিশ করে।
Comments