ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বাম ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

জামিনে মুক্তি পাওয়া বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে তাদের বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। ছবি: স্টার

জামিনে মুক্তি পাওয়া বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে তাদের বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো।

এর আগে সোয়া ১২টার দিকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে এটি শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু হলে এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থেকে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাত নেতাকর্মীকে আটক করে পরে তাদের নামে মামলা দেয়। এক সপ্তাহের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত ৭ মার্চ তারা জামিনে মুক্তি পান।

সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ছাত্রনেতাদের নামে পুলিশের মামলা প্রত্যাহার, লেখক মুশতাক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃত সবার মুক্তির দাবি জানানো হয়।

রাজু ভাস্কর্যের সমাবেশে জামিনে মুক্তি পাওয়া ছাত্রনেতা তামজিদ হায়দার বলেন, ‘এ সরকার জনগণের কণ্ঠকে ভয় পায়, ছাত্রদের কণ্ঠকে ভয় পায়, এ সরকার বুদ্ধিজীবীদের ভয় পায়, একজন কার্টুনিস্টের কার্টুনকে ভয় পায়। এ জন্য লেখক মুশতাককে জেলে মরতে হয়েছে এবং সাংবাদিক কাজল ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে জেলে ঢুকিয়ে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সরকারের যে অবস্থা, তা আমরা জেলে গিয়ে দেখতে পেয়েছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের কণ্ঠকে রোধ করে রেখেছে সরকার।’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয় বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন না, অবিলম্বে এ কালো আইনের বাতিল চাই। আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন, এ আইন সংশোধন করে ছুরির মধ্যে মিষ্টি লাগিয়ে ছুরিকে গোলাপে পরিণত করবেন, তা কখনও পারবেন না।’  

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামিনে মুক্তি পাওয়া ছাত্রনেতা আকিফ আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীনসহ অনেকে।

এর আগে সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আরেকটি সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী। সমাবেশের আগে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

 

Comments

The Daily Star  | English
interim government's dialogue with BNP

Reforms ahead of polls: BNP waits with cautious optimism

Having weathered a very difficult 15 years as de facto opposition, the BNP now wants only the essential reforms done to ensure free and fair polls.

13h ago