পুলিশ হেফাজতে সু চি’র দলের আরও এক নেতার মৃত্যু

মিয়ানমারে অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও এক নেতা সেনাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। তিন দিনের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে এ নিয়ে দ্বিতীয় নেতার মৃত্যু হয়েছে।
Zaw Myat Lynn.jpg-2.jpg
এনএলডি নেতা জাও মায়াত লিন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

মিয়ানমারে অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও এক নেতা সেনাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। তিন দিনের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে এ নিয়ে দ্বিতীয় নেতার মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, এই মৃত্যুর পর দেশটিতে ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর হাতে আটকদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সেনাবিরোধী বিক্ষোভকারী, বেসামরিক কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, গণতন্ত্রকামী রাজনীতিবিদ ও কয়েক ডজন সাংবাদিকও আছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে অনেক মানুষকে তুলে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছেন- তাদের পরিবারও সে খবর জানে না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, যাদের জোর করে তুলে নেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া অন্যদের তুলনায় তাদের বেশি নির্যাতন বা দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সাবেক সংসদ সদস্য বা মায়ো থেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার এনএলডি জাও মিয়াত লিন পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনারস (এএপিপি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাও মায়াত লিন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানও ছিলেন।

মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে এএপিপি জানিয়েছে জাও মায়াত লিনকে নির্যাতন করা হয়েছে।

এপিপিপি জানায়, তাকে রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি নির্যাতনের পর তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারের কিছু সময় আগেই জাও মিয়াট লিন ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন, ‘আমি সারাদেশের সমস্ত নাগরিককে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। আমরা তাদের পরাজিত করার জন্য প্রয়োজনে নিজেদের জীবনের ঝুঁকিও নেব। আমরা জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চাই যে, মিয়ানমারের নাগরিকরা গণতন্ত্র চায় এবং আমরা গণতন্ত্রকে আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস মনে করি।’

গত শনিবার মিয়ানমারে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার এনএলডি নেতা খিন মাউং ল্যাট পুলিশ হেফাজতে মারা যান। তিনি মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় এনএলডি চেয়ারম্যান ছিলেন।

আরও পড়ুন:

পুলিশ হেফাজতে সু চি’র দলের এক নেতার মৃত্যু

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

5h ago