সাবেকদের আরেক হারে সান্ত্বনা নাজিমউদ্দিনের ফিফটি

এবার উপুল থারাঙ্গা বাংলাদেশের সাবেকদের উপর হলেন চড়াও। তার বিস্ফোরক ইনিংসে বিশাল রান করল শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডস। ওই রান টপকানোর কাছে যেতে না পারলেও দারুণ এক ফিফটি দিয়ে কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন। ওপেন করতে নেমে খারাপ করেননি মেহরাব হোসেন অপিও।
ভারতের রায়পুরে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডসের কাছে ৪২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। আগে ব্যাট করে লঙ্কানদের করা ১৮০ রানের জবাবে মোহাম্মদ রফিকের দল করতে পেরেছে ১৩৮ রান। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল বাংলাদেশের সাবেকরা।
বাংলাদেশকে হারাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা থারাঙ্গা মাত্র ৪৭ বলে ১১ চার, ৫ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৯৯ রান। রান তাড়ায় বাংলাদেশের সেরা নাজিমউদ্দিন ৪১ বলে করেছেন ৫৪ রান।
১৮১ রানের বিশাল লক্ষ্য নেমে মেহরাব-নাজিমের জুটি এনেছিল ভালো শুরু। এদিন মেহরাবকে একাদশে রাখায় জাভেদ ওমরকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়। জাভেদের তুলনায় মেহরাব ছিলেন অনেক বেশি সাবলীল। পাওয়ার প্লে বেশ ভালোভাবে কাজে লাগাতেও পেরেছিলেন তারা। ৩ চার ১ ছক্কায় ২৬ বলে ২৭ করা মেহরাব ফেরেন তিলকরত্নে দিলশানকে ছক্কা মারতে গিয়ে। ৮ম ওভারে বাংলাদেশের সাবেকদের রান তখন ৫৭।
ওপেনিং জুটির পরই বদলাতে থাকে ম্যাচের ছবি। হান্নান সরকার, মোহাম্মদ রফিক, মুশফিকুর রহমানরা ফিরে যান দ্রুত। রানরেটের চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় নাজিমউদ্দিনের একার পক্ষে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব ছিল না। তিনি তুলে নেন ফিফটি। টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪৯ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার। শেষ দিকে খালেদ মাসুদের ২২ বলে ২৮ রান কমিয়েছে কেবল হারের ব্যবধান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় লঙ্কানরা। চোট পেয়ে সনাৎ জয়াসুরিয়া বেরিয়ে গেলে তিনে নেমেছিলেন থারাঙ্গা। দিলশান-থারাঙ্গা মিলে তুলেন ঝড়। ৬ষ্ঠ ওভারে ২৩ বলে ৩৩ করা দিলশানকে আউট করেন রাজিন সালেহ। এরপর চামারা সিলভাকে এক পাশে রেখে তাণ্ডব চালান থারাঙ্গা।
রফিক এদিন বেশ ভাল বল করেছেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রান দিয়ে নেন চামারার উইকেট। আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সবচেয়ে কম খরুচে। উইকেট না পেলেও তার ৪ ওভার থেকে কেবল ২১ রান নিতে পারে লঙ্কানরা। অনিয়মিত বোলার হয়েও ৪ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে দেন রাজিন। পেসার মোহাম্মদ শরিফ ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে পেয়েছেন ফারভিজ মাহরুফের উইকেট।
থারাঙ্গাকে আর আউটই করা যায়নি। দলের রান চূড়ায় তুলার সঙ্গে তিন অঙ্কের দিকেই যাচ্ছিলেন তিনি। তবে আউট না হলেও মাত্র ১ রানের আক্ষেপ থেকে যায় তার।
ফিল্ডিংয়েও এদিন দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কানরা। বিশেষ করে দিলশান ছিলেন সেই আগের মতই ক্ষিপ্র। নিচু ক্যাচ নিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। পয়েন্ট লাফিয়েও নিয়েছেন দেখার মতো ক্যাচ।
সব মিলিয়ে লঙ্কানদের স্কিল আর ফিটনেসের তুলনায় বেশ পিছিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা।
Comments