হোপের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম সারির এক ঝাঁক ক্রিকেটারকে ছাড়া বাংলাদেশে এসে ওয়ানডেতে নাস্তানাবুদ হয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেরা ক্রিকেটাররা ফেরায় বদলে গেল তাদের ছবি। ফেরার ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন শেই হোপ। শ্রীলঙ্কার মাঝারি পূঁজি মাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতল সহজেই।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ওয়ানডে সুপার লিগে পেয়েছে প্রথম পয়েন্ট। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। আগে ব্যাট করা লঙ্কানদের করা ২৩২ রান তিন ওভার বাকি রেখেই পেরিয়ে যায় কাইরন পোলার্ডের দল। দলকে জেতাতে ১৩৩ বলে ১১০ রান করেন হোপ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার দশম সেঞ্চুরি।
বুধবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শুরুটাও তাদের হয়েছিল দারুণ। দুই ওপেনার দানুশকা গুনাথিলেকা আর দিমুথ করুনারত্নের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আভাস মিলছিল। দুজনেই তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। জুটিতে এসে গিয়েছিল শতরান। ৬১ বলে ৫২ করা অধিনায়ক করুনারত্নের আউটে ভাঙ্গে এই জুটি। তাকে ফেরার প্রতিপক্ষ কাপ্তান পোলার্ড। তার বলে টপ এজ হয়ে ক্যাচ উঠিয়েছিল। প্রথম চেষ্টায় পোলার্ড তা ধরতে না পারলেও পরে লাফিয়ে জমান দারুণ ক্যাচ।
এরপরই খেই হারাতে থাকে লঙ্কানর। আরেক ওপেনার গুনাথিলেকার আউট নিয়ে অবশ্য আছে বিতর্ক। ফিল্ডারকে বাধা দেওয়ায় ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউট হয়েছেন তিনি। টিভি আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ ফিল্ডারকে ঠিক বাধা দেওয়ার অ্যাপ্রোচে দেখা যায়নি গুনাথিলেকাকে।
এরপর আসেন বান্দারা (৬০ বলে ৫০ রান) ছাড়া লঙ্কানদের আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। এক ওভার বাকি থাকতেই তারা গুটিয়ে যায় ২৩২ রানে।
ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে লক্ষ্যটা ছিল সহজ। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরু হয় দুর্দান্ত। এভিন লুইস প্রথমে ছিলেন ধীর, অপরদিকে শুরুতেই ঝড় তুলেন হোপ। প্রথম ২৫ বলেই তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। সময়ে সময়ে তিনিও পরে ধীর হয়ে যান। রান রেটের চাপ বেশি না থাকায় সেই সুযোগও ছিল। দুজনের জুটি ভাঙ্গে ২৯তম ওভারে। ততক্ষণে ১৪৩ রান হয়ে গেছে ক্যারিবিয়ানদের। ৯০ বলে ৬৫ করা লুইস বোল্ড হল দুশমন্ত চামিরার বলে।
পরে ড্যারেন ব্রাভোর সঙ্গে আরেক জুটি গড়ে উঠে হোপের। এই ওপেনার তুলে নেন সেঞ্চুরি। তাকেও বোল্ড করে আরেক উইকেট নেনে চামিরা। তবে ততক্ষণে খেলায় ফেরার অবস্থা ছিল না সফরকারীদের।
জেসন মোহাম্মদকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই সেরেছেন ব্র্যাভো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৯ ওভারে ২৩২ (গুনাথিলাকা ৫৫, করুনারত্নে ৫২, নিসানকা ৮, ম্যাথিউস ৫, চান্দিমাল ১২, বান্দারা ৫০, মেন্ডিস ৯, হাসারাঙ্গা ৩, চামিরা ৮, সান্দাক্যান ১৬*, প্রদিপ ১; জোসেফ ১/৪৯, হোল্ডার ২/৩৯, হোসেইন ০/৪৪, শেফার্ড ০/৩০, মোহাম্মেদ ২/১২, পোলার্ড ১/১৫, অ্যালেন ১/৩৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭ ওভারে ২৩৬/২ (লুইস ৬৫, হোপ ১১০, ব্রাভো ৩৭*, মোহাম্মেদ ১৩*; প্রদিপ ০/৪৬, চামিরা ২/৫০, মেন্ডিস ০/২১, হাসারাঙ্গা ০/২৬, গুনাথিলাকা ০/২৫, সান্দাক্যান ০/৫৭, বান্দারা ০/৮)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: শেই হোপ।
Comments