চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী সেই শিক্ষক কারাগারে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আট বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা শিক্ষক মাওলানা ইয়াহহিয়া খানকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, আজ সকালে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মাদ্রাসার ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকশের পর আজ বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ইয়াহহিয়া খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে গতকাল রাতে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।’
হাটহাজারী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন গতকাল বলেন, ‘মঙ্গলবার আট বছর বয়সী শিশু ইয়াসিনের জন্মদিন ছিল। তাই তার মা তাকে মাদ্রাসায় দেখতে এসেছিলেন। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় মায়ের পিছু পিছু যায় ইয়াসিন। তখন শিক্ষক ইয়াহিয়া তার ঘাড় ধরে টেনে এনে রুমে ঢুকিয়ে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে পুলিশসহ আমরা সেই মাদ্রাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং শিক্ষককে আটক করা হয়। তার মা-বাবাকেও খবর দিলে তারাও মাদ্রাসায় আসেন।’
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
Comments