এই মুহূর্তে রোনালদোর চুক্তি নবায়নের ইচ্ছে নেই জুভেন্টাসের
টানা সাত মৌসুম সিরি আর শিরোপা জেতা দলটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য মিলছিল না। সেমি-ফাইনাল কিংবা ফাইনালে গিয়েই থামে তাদের দৌড়। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা একজন মহাতারকার খোঁজে নামে জুভেন্টাস। আর মিলেও যায়। এ আসরের সবচেয়ে সফল তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে দলে টানে দলটি। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি। উল্টো মাঝারি সারির দলের কাছে জুভরা হারছে দ্বিতীয় রাউন্ড কিংবা কোয়ার্টার ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে এফসি পোর্তোর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস। যদিও দ্বিতীয় লেগে জয় পেয়েছিল দলটি। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের সমীকরণে শেষ ষোলোতেই থামে তাদের যাত্রা। আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ। গত দুই মৌসুমে অলিম্পিক লিঁও ও আয়াক্স আমস্টারডামের মতো দলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। তাই টানা ব্যর্থতায় রোনালদোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তুরিনের দলটি। তার চুক্তি নবায়নের কোনো পরিকল্পনাই নেই দলটির। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির প্রধান ফুটবল কর্মকর্তা ফ্যাবিও প্যারাতিসি।
পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাসের চুক্তিটা আগামী ২০২২ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত। এ তারকাকে ধরে রাখতে চাইলে স্বাভাবিকভাবে এখনই নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এ মুহূর্তে এমন কিছু তারা ভাবছেন না বলেই জানান প্যারাতিসি। স্কাই ইতালিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভাগ্যক্রমে, তার চুক্তিতে আরও একটি বছর বাকি রয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করার সময় রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে এ নিয়ে আলোচনা করার কোনো লক্ষ্য আমাদের নেই।’
তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত রোনালদোকেই নিতে হবে বলে জানান সাবেক এ ফুটবলার, ‘ক্রিস্তিয়ানোর ক্যারিয়ার তার নিজের হাতেই। সবসময় বড় মাপের খেলোয়াড়রা নিজেরাই একটি দলের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা শেষ করে অন্য অভিজ্ঞতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আপনাকে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে। চুক্তি বজায় থাকবে কিনা অথবা এটা সে কীভাবে অনুভব করে, সেটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।’
গত মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পোর্তোকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারায় জুভেন্টাস। প্রথম লেগে ১-২ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। পোর্তোর দুটি অ্যাওয়ে গোলের কারণে বিদায় নিশ্চিত হয় জুভেন্টাসের।
আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে পোর্তোর দ্বিতীয় গোলে রোনালদোর দায় দেখছেন অনেকেই। পোর্তো ডি-বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পাওয়ায় মানব দেওয়াল তৈরি করেছিল জুভরা। কিন্তু সার্জিও অলিভিয়েরা যখন শট নেন, তখন মুখ বাঁচাতে পেছন দিকে ঘুরে লাফ দেন রোনালদো। অথচ বল তার দুই পায়ের মাঝ দিয়ে গিয়ে লক্ষ্য ভেদ করে। তাতেই খেপেছেন জুভেন্টাস ভক্তরা। তাদের দাবি, মুখ বাঁচাতে পেছনে না ঘুরলে পা দিয়ে বল আটকাতে পারতেন রোনালদো।
Comments