জাতীয় লিগে চ্যালেঞ্জিং উইকেটের প্রত্যাশা প্রধান নির্বাচকের
করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা বিরতির পর স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। ২২ মার্চকে লক্ষ্য করে ইতিমধ্যে আট দলের স্কোয়াড গুছিয়ে নিয়েছেন নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সে খবর দিয়ে আশায় আছেন, এবার মিলবে বৈচিত্র্যময় চ্যালেঞ্জিং উইকেট।
২২ মার্চ দেশের চার ভেন্যুতে মাঠে গড়ানোর কথা আছে জাতীয় লিগের। এরমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা। বিভাগীয় দলগুলোর সম্ভাব্য অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে বসে স্কোয়াড তৈরির কাজও শেষ। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এমন খবর দেন মিনহাজুল, ‘আমরা দলগুলো তৈরি করতে অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে বসি। সেটার জন্যই বসেছিলাম। আমরা ৮টা ডিভিশনের (৭ বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো) সঙ্গে বসেছি এবং মোটামুটি ১৮ জন করে দল তৈরি করে দিয়েছি।’
লিগ শুরুর আগে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে করোনাভাইরাসের টিকা। টিকা দেওয়ার উপর ভিত্তি করে শুরুর তারিখ দু’একদিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে স্কোয়াড ঠিক করে ফেলায় অনুশীলন শুরু করতে আর বাধা নেই।
করোনা মহামারির পর প্রস্তুতিমূলক প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসর হয়েছিল। তবে দুই টুর্নামেন্টর কলেবরই ছিল বেশ ছোট। খেলা হয়েছিল কেবল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সংখ্যাও ছিল কম।
জাতীয় লিগ দিয়েই মূলত তাই ফিরবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। লম্বা বিরতির পর খেলা হওয়ায় ভেন্যুগুলোর উইকেট নিয়ে বেড়েছে প্রত্যাশা। ফল আসে, প্রতিযোগিতামূলক খেলা হয় এমন উইকেটই চান প্রধান নির্বাচক, ‘যেহেতু এক বছর কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট হয়নি, সব মাঠেই কিন্তু নতুন করে খেলা শুরু হচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা অবশ্যই ভালো উইকেট চাচ্ছি। আশা করছি যে ভালো উইকেট পাব। এটাই প্রত্যাশা করছি জাতীয় লিগের চারটি ভেন্যু থেকে। আশা করছি অন্তত দুটো ভেন্যুতে দুই রকমের খেলা হবে। যেন একটা দল দুই ভেন্যুতে দুই রকম উইকেট পায়। সবাই যেন সব ধরনের উইকেটে অভ্যস্ত হয়। যেহেতু উইকেট গুলো একদম ফ্রেশ পাচ্ছি, এক বছর খেলা হয়নি। আশা করছি চ্যালেঞ্জিং উইকেটই পাব।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন আছে নিউজিল্যান্ডে। সে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে ১২ এপ্রিল আবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাবেন ক্রিকেটাররা।
কেবল মাত্র টেস্ট দলে থাকেন এমন ক্রিকেটাররা জাতীয় লিগের অন্তত দুই রাউন্ড খেলার সুযোগ পাবেন। তবে নিউজিল্যান্ডে সফরে থাকা ক্রিকেটারদের বিশ্রামের কথা মাথায় রাখলে তাদের জাতীয় লিগে না খেলার শঙ্কা থাকছে। যদিও ৫ এপ্রিল তৃতীয় রাউন্ডের তারিখ রেখে তাদের খেলার সুযোগ রাখার কথাও জানান মিনহাজুল।
Comments