প্রধানমন্ত্রী আমাকে শান্ত থাকতে বলেছেন, তাই শান্ত আছি: কাদের মির্জা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে শান্ত থাকতে বলেছেন, তাই আমি শান্ত আছি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘দুইদিন আগে আমি দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। তিনি আমাকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমি শান্ত আছি। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বসুরহাটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সেখানেও অপশক্তির হামলার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে এবং আমাকে হত্যার জন্য রাতে সরকারি কার্যালয় পৌরভবনে গ্রেনেড, গুলি ও শক্তিশালী বোমা হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ডধারী ও দলে অনুপ্রবেশকারী। তারা অব্যাহতভাবে শান্তির জনপথ কোম্পানীগঞ্জকে প্রতিনিয়ত অশান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ইতোমধ্যে এই অপশক্তির হামলার শিকার কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে গুলি করে হত্যার ১৫ দিনের মাথায় আলা উদ্দিন নামের আরও এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আমার ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা রক্ত ও সংঘাতের রাজনীতি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জের পাঁচ প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এরমধ্যে পুলিশ ও আমার এক বোনও জড়িত আছেন। মিজানুর রহমান বাদল ও রেজ্জাক চেয়ারম্যান চরের জমি দখল করে বাইরের মানুষের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। চরের জমি ভূমিহীনরা পাওয়ার কথা থাকলেও বাদল ও তার সহযোগীরা জালিয়াতির মাধ্যমে লুটপাট করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জকে শান্ত রাখতে এবং সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের হত্যাকারীদের শনাক্তে ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি এবং নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছি এবং বলেই চলছি, সেহেতু আমার মুখ বন্ধ করতে ওপর থেকে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি গরীবের কথা বলি। আর আমার প্রতিপক্ষ তাদের স্বার্থের কথা বলে। আমি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও দুইজন ব্যক্তিকে পছন্দ করি। একজন হলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং অপরজন হচ্ছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তারা ভালো মানুষ এবং দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আগামীতে আমি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। এমপি নির্বাচন কিংবা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদ পাওয়ার আশা আমি করি না।’
এসময় তিনি দাবি করেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই রাতে পৌরসভা ভবনে গুলি ও বোমা হামলা করা হয়েছে। নেত-কর্মীদের কল্যাণে মঙ্গলবার রাতে গুলি হামলার হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
Comments