‘রোনালদো রিয়াল ছাড়ায় দুপক্ষই হেরেছে’
নয়টি মৌসুম। চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ১৫টি শিরোপা। সবমিলিয়ে ৪৩৮ ম্যাচ খেলে ৪৫০ গোল। ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর অর্জনের তুলনা মেলা ভার। কিন্তু একসঙ্গে তাদের পথচলা থেমেছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়ে পর্তুগিজ তারকা পাড়ি জমান জুভেন্টাসে। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফরোয়ার্ড বিদায়ের ঘটনা এখনও নাড়া দেয় সার্জিও রামোসের মনে।
লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ালের অধিনায়ক বলেছেন, তিনি ক্লাবটির নীতিনির্ধারক হলে কখনোই রোনালদোকে যেতে দিতেন না। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে জোরালো যুক্তিও দিয়েছেন তিনি।
‘ক্রিস (রোনালদো) হেরেছে এবং মাদ্রিদও হেরেছে (যখন সে চলে গেছে)। আমি (দায়িত্বে থাকলে) তাকে যেতে দিতাম না। কারণ, সে বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং সে আমাদেরকে (বড় বড় শিরোপা) জেতার খুব কাছে পৌঁছে দিত। কিছু কিছু সম্পর্ক হয় চিরজীবনের জন্য। দলের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়া যাকে বলে। সে একজন পার্থক্য গড়ে দেওয়া খেলোয়াড়। সে আমাদেরকে জিততে সাহায্য করত।’
গুঞ্জন রয়েছে, আগামী মৌসুমে রিয়ালে যোগ দিতে পারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে কিংবা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার এরলিং হালান্ড। দুজনকেই পছন্দ তালিকায় রাখলেও হালান্ডের বাক্সে ভোট দিয়েছেন রামোস। তার প্রতিভা ও দক্ষতার পাশাপাশি ক্লাবের আর্থিক দিকও বিবেচনায় নিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
‘আমি তাদের দুজনেরই দলে আসা পছন্দ করব। কিন্তু যদি একজনকে বেছে নিতে হয়, তাহলে হালান্ডকে নেওয়া সহজ হবে। অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এমবাপেকে দলে টানা কঠিন। গোলক্ষুধা, শারীরিক আকৃতি ও গতি বিবেচনা করলে হালান্ড মোটেও খারাপ কোনো বিকল্প নয়। তার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোও তুলনামূলক সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, রামোসের সঙ্গে রিয়ালের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী গ্রীষ্মে। এখনও নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি তিনি। তাই তার ভবিষ্যৎ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
Comments