সুমন খানের তোপে সিরিজ বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের

এক ম্যাচ হাতে রেখেই আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সুমন খানের বোলিং তোপে সফরকারীদের সহজেই হারিয়েছে তারা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্ষুদে টাইগাররা।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৬.২ ওভারে ১৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় আইরিশরা। জবাবে ৫১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
এর আগে দুই দলের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়। আয়ারল্যান্ড উলভসের অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াসের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সে ম্যাচ। পরে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন। তৃতীয় ওয়ানডেতেও স্থানীয় এক সাপোর্ট স্টাফের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসায় খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়েছিল।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। মূলত পেসার সুমনের তোপে পড়ে দলটি। মূল কাজটা সেরে দেন এ পেসারই। আইরিশদের টপ অর্ডার ধসিয়ে বড় সংগ্রহ করতে দেননি তিনি। পরে বাকী কাজ করেন ব্যাটসম্যানরা।
তবে পঞ্চম উইকেটে মার্ক অ্যাডাইরের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লরকান টাকার। পরে অষ্টম উইকেট জুটিতে রুহান প্রিটোরিয়াস ও গ্রায়েম হুমেও চেষ্টা করেছিলেন। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তাদের চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি। ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন অ্যাডাইর। ৪৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া প্রিটোরিয়াস ৪৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে করেন ৩৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার সুমন খান। ফলে ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়া মুকিদুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম ও সাইফ হাসান ২টি করে উইকেট পান।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল বিবর্ণ। দলীয় ১০ রানেই ওপেনার তানজিদ হাসান ও ইয়াসির আলীকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয়। অবিচ্ছন্ন ১৭৬ রানের জুটি গড়ে দল কে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে অপরজিত থাকেন হৃদয়। ৯৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন করেন তিনি। জয় খেলেন অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস। ১৩৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন এ ওপেনার। আইরিশদের পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান পিটার চেজ।
Comments