কেরানীগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে ঘুরতে গিয়ে মাঝিদের মারধর, আহত ১৪
চাঁদপুরের মেঘনা মোহনার বালুচরে বেড়াতে যাওয়া একটি দলের হামলায় ১৪ জন নৌকার মাঝি আহত হয়েছেন। এ সময় তারা সেখানকার দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নৌকার মাঝিরা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা প্রায় দেড় হাজার যুবক নিয়ে হুলারহাট এলাকার এমভি ফারহান-৯ লঞ্চটি গতকাল দুপুরে চাঁদপুরে স্থানীয়ভাবে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মোহনার বালুচরে আসে। বিকেলের দিকে তাদের মধ্যে একদল উশৃংঙ্খল যুবক হঠাৎ করেই সেখানকার বেশ কয়েকটি টং দোকানে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এতে বাধা দিতে গেলে ১৪ জন নৌকার মাঝি ও টং দোকানদার আহত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা চাঁদপুর শহরের ফরিদুল ইসলাম এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ করে লাঠি-বাঁশ নিয়ে নৌকার মাঝি ও দোকানদারদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর ও ভাঙচুর শুরু করেন কয়েকজন যুবক। সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ না থাকায় বেড়াতে আসা অন্যান্য মানুষ ও দোকানদাররা দৌড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যান। সেখানে বেড়াতে যাওয়া শত শত মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।’
নৌকা মাঝি-মাল্লার সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ঢাকার সদরঘাট এলাকার কাউন্সিলরের ভাই মিতুর লোকজন এই চরে পিকনিক করতে আসেন। আমাদের চাওয়া ছিল, সেখানে লঞ্চ থেকে নামার সময় তারা যেন নৌকার মাধ্যমে নামেন এবং ১০ টাকা করে ভাড়া দেন। তারা সেটা না করে আমাদের ওপর হামলা চালান এবং মারধর করেন। আমরা নৌকার মাঝিরা গরীব হওয়ায় কোনো মামলা মোকদ্দমা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে নৌকার মাঝিদের ডেকে আনি। কিন্তু তারা আমাদের জানায়, এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার খরচ দিয়ে গেছেন হামলাকারীরা। এই মর্মে তারা আমাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে যান। এ কারণে আর কোনো অভিযোগ করেননি কেউ।’
Comments