গরমে তাঁবুতে থাকা দায়, ইটের ঘর বানাচ্ছেন কৃষকরা
ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। ডিসেম্বর-জানুয়ারির তীব্র শীতেও তারা রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে থেকেছেন।
আজ শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আন্দোলনরত কৃষকরা গরমের প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্তের কাছে রাস্তার পাশেই ইটের ঘর বানাতে শুরু করেছেন।
হরিয়ানার কাছে টিকরি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা নিজেরাই এই ঘরগুলো নির্মাণ করছেন। প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার রুপি খরচ পড়েছে। কৃষকদেরই একটি দল ঘরগুলো তৈরি করছে। তারা শ্রমবাবদ কোনো অর্থ নিচ্ছেন না।
কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারেই সীমিত সম্পদ দিয়ে ঘর তৈরি করছেন কৃষকরা।
গত তিন মাস ধরে ইন্টারনেটে আন্দোলনটি নিয়ে সরগরম শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। তবে রাস্তায় কৃষকদের আন্দোলন থেমে নেই। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছেন কৃষকরা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এর আগে তাঁবুতে থাকলেও গ্রীষ্মের প্রস্তুতি হিসেবে ইটের ঘর তৈরি করছেন কৃষকরা।
সীমান্তের কাছে আন্দোলনকারীদের অনেকেই আগে ট্র্যাক্টরগুলোতে থাকতেন। তবে এখন ট্র্যাক্টরের সংখ্যা কমে গেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, ফসলের মৌসুম চলায় ট্র্যাক্টরগুলো গ্রামে ফেরত পাঠাতে হয়েছে।
গত বছর নভেম্বর থেকে দশ দফারও বেশি আলোচনার পরেও সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি।
আগামী ২৬ মার্চ কৃষি আন্দোলনের চার মাস পূর্ণ হবে। এদিন সর্বভারতীয় ধর্মঘট বা ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। ভারত বন্ধের পরিকল্পনার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য গণসংগঠনের সমন্বয়ে একটি যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক ইউনিয়নের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাস্তায় মেডিকেল সেন্টার, ওয়াশিং মেশিন, লাইব্রেরি: দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষক জীবন
ভারতের কৃষি আইনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
কৃষক বিদ্রোহ: ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লিতে
কৃষক বিদ্রোহ: দিল্লিতে সহিংস বিক্ষোভ, ট্রাক্টর উল্টে নিহত ১
কৃষক বিদ্রোহ: ‘আমাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি’
Comments