আগুয়েরোর ৪১৭ দিনের অপেক্ষার অবসান, স্বস্তিতে ম্যান সিটি

গোল করাই তার প্রধান কাজ। তাতে তিনি সিদ্ধহস্তও। অথচ সার্জিও আগুয়েরো কিনা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলে গিয়েছিলেন! আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। দীর্ঘ ৪১৭ দিন পর জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। তার গোলখরার অবসান ঘটায় স্বস্তি নেমে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটিতে।
শনিবার রাতে ফুলহামের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে সিটিজেনরা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। বিরতির পর ১৪ মিনিটের মধ্যে তিন গোল আদায় করে নেয় পেপ গার্দিওলার দল। একে একে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন জন স্টোনস, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও আগুয়েরো। স্পট কিক থেকে সিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগে ১৮১তম গোলের স্বাদ নেন আগুয়েরো।
গত বছরের জানুয়ারিতে লিগে সবশেষ গোলটি করেছিলেন ৩২ বছর বয়সী আগুয়েরো। এরপর থেকে ১৩ ম্যাচ খেলেও লক্ষ্যভেদ করা হয়নি তার। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ২৪টি শট নিয়ে তিনি হন ব্যর্থ। সবমিলিয়ে ৬৪১ মিনিট গোল না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।
এক বছরেরও বেশি সময়ে আগুয়েরোর এত কম ম্যাচ খেলার কারণ মূলত তার চোট। বেশ কয়েক দফা মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয় তাকে। তাছাড়া, ম্যান সিটির কোচ গার্দিওলা বেশ কিছু ম্যাচে স্ট্রাইকারবিহীন ফরমেশন সাজানোয় তার মাঠে নামা হয়নি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জেসুসও আবার আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। ব্রাজিলের এই তারকা সবশেষ দশ ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে গোল করেছেন আটটি।
পারিপার্শ্বিক অবস্থা যা-ই হোক না কেন, সিটির জন্য সুসংবাদ হলো, তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফিরেছেন গোলে। ফুলহামকে হারানোর পর গার্দিওলা ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে গার্দিওলা বলেছেন, আগুয়েরোর জন্যও এটা জরুরি ছিল, ‘এটা তার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গোল করাটাই তার কাছে সবকিছু।’
ইংলিশ ডিফেন্ডার স্টোনসও জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া, ‘আমি সার্জিওর জন্য ভীষণ খুশি। কারণ, গোল করার অনুভূতি সে ফিরে পেয়েছে। আমরা সবাই জানি, সে কতটা ভালো। আমি তাকে গোলদাতাদের তালিকায় দেখতে পেয়ে সত্যিই আনন্দিত। আমি মনে করি, সিটির ভক্তদের অনুভূতিও আমার মতো।’
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন আগুয়েরো নিজেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক অনেক সমর্থনসূচক বার্তা জানানোয় সবাইকে ধন্যবাদ এই বছরে, যা এখন পর্যন্ত আমার জন্য খুব কঠিন যাচ্ছে। আমি যে আনন্দ পেয়েছি তার কিছুটা মাঠে ফিরিয়ে দিতে পারায় ভালো লাগছে। ক্লাবের জন্য আমি সবকিছু উজাড় করে দিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে ম্যান সিটি। ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭১। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের চেয়ে ১৭ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। ২৮ ম্যাচে তাদের অর্জন ৫৪ পয়েন্ট।
Comments