জয়ের সেঞ্চুরিতে অপরাজেয় ইমার্জিং দল
শুরুতে উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে ভরসা দিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তাকে যোগ্য সঙ্গত করলেন আনিসুল ইসলাম ইমন। আনিসুল থিতু হয়ে ফিরে গেলেও জয় তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তাতে শক্ত পূঁজি পেয়ে যায় ইমার্জিং দল। স্টেফানি ডোহানি আর মার্ক অ্যাডাইয়ের দারুণ জবাবের পরও বাংলাদেশের স্পিন সামলাতে পারেনি আইরিশরা। শেষ ওভারে গিয়ে হেরেছে তারা।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড উভলসকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর সাইফ হাসানের দল সিরিজ শেষ করল ৪-০ ব্যবধানে। বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে আইরিশরা করে ২৫৫ রান। ১৩৫ বলে ১২৩ রান করে ইমার্জিং দলের জয়ের নায়ক জয়। আয়ারল্যান্ডকে আটকে রেখে বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফল অধিনায়ক সাইফ হাসান।
সকালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে দিয়েছিল আইরিশরা। অধিনায়ক সাইফ ফিরে যান চতুর্থ ওভারেই। এরপর আনিসুলকে নিয়ে জুটি গড়ে উঠে জয়ের। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রান যোগ করার পর বিদায় নেন আগ্রাসী ব্যাট করে ৩১ বলে ৪১ করা আনিসুল।
পরে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে আরেকটি ছোট জুটি পান জয়। হৃদয়ও ফেরেন থিতু হয়ে। এরপর শাহাদাত হোসেন দিপু , শামীম পাটোয়ারি এদিন রান পাননি।। ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে ৭১ রানের আরেক জুটি পান জয়। সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। আরেক পাশে আশা যাওয়ার মাঝে দল আড়াইশ ছাড়ায় তার ব্যাটেই। ৪৯তম ওভারে একদম ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের ২৫৬ রানে গিয়ে থামে জয়ের ইনিংস।
২৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে শফিকুল ইসলামের বলে জেরমি লাওলোর ফেরেন দ্বিতীয় ওভারে। এরপর বড় জুটি পেয়ে যায় আইরিশরা। ডোহানি আর অ্যাডাইয়ার দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯৭ রান। তখন আয়ারল্যান্ডের দিকেই ম্যাচের পাল্লা ছিল ভারি। অধিনায়ক সাইফ হাসানই তার অনিয়মিত স্পিন দিয়ে খেলা আনেন বাংলাদেশের পক্ষে।
৪৫ করা অ্যাডাইয়ারকে আউট করেন তার স্পিনে। অধিনায়ক হ্যারি ট্যাক্টরকে তুলে নেন শামীম। সাইফ মিডল অর্ডারেও হানেন আঘাত। ৮১ করা ডোহানিকে থামান শামীম। কিপার ব্যাটসম্যান নেইল রকের ৩৮ বলে ৩৫ রানে ফের ম্যাচে ফিরেছিল আয়ারল্যান্ড। রককে শফিকুল কমান বিপদ।
শেষ ওভারে জিততে হলে ১১ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ড। রেজাউর রহমান রাজার বলে শেষ দুই ব্যাটসম্যান আনতে পারেননি ৫ রানের বেশি।
Comments