সবুজ বাংলার ক্যানভাসে আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হবে অনন্য উদযাপন: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি প্রধান সবুজ বাংলার বিশাল ক্যানভাসকে ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হবে তার জন্মশতবার্ষিকীর এক অনন্য উদযাপন।
আজ সকালে বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নে বাস্তবায়নাধীন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন আমাদের হৃদয়ে আছেন তেমনি বাংলার আকাশে-বাতাসে, সবুজ-শ্যামল ভূমিতে, শস্যখেতে- সবক্ষেত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুর পদধ্বনি শুনতে পাই।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেভাবে নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি, তা তার আদর্শে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
এ সময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম ও শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে কৃষমন্ত্রী ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার আয়োজিত বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে ‘বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব: শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বগুড়া শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে দুই প্রজাতির ধান লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ছবি/প্রতিকৃতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের অর্থায়নে এই প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, সারাবিশ্বে এটিই শস্যখেতে শস্য দিয়ে তৈরি করা যে কোনো একক ব্যক্তির সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। তাই বিশ্ব (ওয়ার্ল্ড) রেকর্ডের জন্য তারা গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে এই শস্য চিত্রটি গিনেজ বুকের রেকর্ডে জায়গা পাবে বলে আশাবাদী তারা।
এর আগে, গত ৯ মার্চ গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডের দুই বাংলাদেশি প্রতিনিধি শস্যচিত্রটি পরিদর্শন করতে বগুড়ায় আসেন।
পরিদর্শন শেষে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেজ বুকে স্থান পাওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বগুড়া গিয়েছিলেন- শেরেবাংলা বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
Comments