গোপনে স্কুলের ভবন বিক্রির অভিযোগ শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গোপনে সরকারি স্কুলের ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কুষ্টিয়ায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, এক সহকারী শিক্ষক ও দুই ক্রেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম কুমারখালী থানায় এই অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন—কুমারখালী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও দুই ক্রেতা শানপুকুড়িয়ার ইয়াছিন আলী বিশ্বাস ও বাচ্চু শেখ।

অভিযোগে শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, স্কুলের চারচালা আধাপাকা ঘর সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ গোপনে বাচ্চু শেখের কাছে বিক্রি করেছেন। প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন। বিক্রি করা ঘরটির ইট, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্টের খুঁটি ও টিনের দাম আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।

ঘরের ক্রেতা বাচ্চু শেখ ৬ মার্চ রাতে ঘরটি ভেঙে জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যান। বাচ্চুর বাড়িতে গিয়ে ভবনের মালামাল থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, হারুন অর রশিদ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের সহযোগিতায় ঘরটি বিক্রি করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে হারুন অর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন তাই বিক্রি করেছি। ঘর বিক্রির টাকা বিকাশের মাধ্যমে তাকে পাঠানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে আজ বিকেল থেকে বিভিন্ন সময় ছয় বার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুর্নীতির বিষয় থাকায় থানায় জিডি  করে কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনারের উপপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-CEC Nurul Huda gives confessional statement in poll irregularities case

Statement being recorded before magistrate in case over alleged bias in past elections

27m ago