এবার ব্র্যাভোর সেঞ্চুরি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শ্রীলঙ্কা হোয়াইটওয়াশ
বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করে শক্ত পূঁজি পাইয়ে দিয়েছিলেন আসেন বান্দারা আর ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। দারুণ ছন্দে থাকা শেই হোপ এবারও রেখেছেন অবদান, তাকে ছাপিয়ে এদিন নায়ক অবশ্য ড্যারেন ব্র্যাভো। সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। শেষ দিকে ঝড় তুলে দলের চাহিদা মেটান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।
শ্রীলঙ্কাকে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও হারাতে সমস্যা হয়নি ক্যারিব্যানদের। এবার ৯ বল বাকি রেখে লঙ্কানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের সিরিজে করেছে হোয়াইটওয়াশড।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ২৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পূঁজি তাড়ায় পঞ্চম ওভারেই এভিন লুইসকে হারায় উইন্ডিজ। তিনে নেমে জেসন মোহাম্মদ নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি শিকার হাসারাঙ্গার। এরপরই আসে ব্র্যাভো-হোপের বড় জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ১০৯ রান।
এই পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাড়ে তিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যান হোপ। ফিফটি পেরিয়ে আরেকটি সেঞ্চুরিও উঁকি মারছিল হোপের ব্যাটে। রাশ টেনেছেন থিসারা পেরেরা। সুরাঙ্গা লাকমালের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে ৭২ বলে তার ৩ চার, ২ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস।
নিকোলাস পুরান এসে দ্রুত খেলা শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৫ করে দানুশকা গুনাথিলেকার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
পরে অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেন ব্র্যাভো। নিজে পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিতে। সেঞ্চুরির পর পরই লাকমালের শিকার হন এই বাঁহাতি।
পরে ৪২ বলে ফিফটি করা পোলার্ড আর ১০ বলে ১৪ করা জেসন হোল্ডারের ব্যাটে আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় খেলা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে ভালো শুরুগুলো মাঝপথে গিয়ে নষ্ট করতে থাকে লঙ্কান টপ অর্ডার। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানই আউট হন থিতু হয়ে। ১৫১ রানেই তাই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
সপ্তম উইকেটে এরপরই আসে দুর্দান্ত এক জুটি। বান্দারা-হাসারাঙ্গা মিলে এনেছেন বাকি ১২৩ রান। অবিচ্ছিন্ন থেকে খেলেছেন প্রায় ২০ ওভার। ক্রমশই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যকে উঁচু করতে থাকা হাসারাঙ্গা করেন ৬০ বলে সর্বোচ্চ ৮০ রান। বান্দারা করেন ৭৪ বলে ৫৫। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের কাছে ওই রানও যথেষ্ট হয়নি।
Comments