জুভেন্টাস ও পর্তুগালের হয়ে এখনও জয়ের অনেক কিছু বাকী: রোনালদো

বয়স ৩৬ ছাড়িয়েছে। কিন্তু এখনও একের পর এক কীর্তি গড়ে যাচ্ছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। আগের দিনই কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়েছেন। কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়, পারি দিতে চান আরও অনেক দূর। জুভেন্টাস ও পর্তুগালের হয়ে আরও অনেক অর্জন এখনও বাকী রয়েছে তার।
অবশ্য পেলের রেকর্ডটা ছাড়িয়েছেন গত জানুয়ারিতেই। পেলের অফিসিয়াল গোল ৭৫৭টি। কিন্তু পেলের দাবী তার অফিসিয়াল গোল ৭৬৭টি। সাও পাওলোর রাজ্য দলের হয়ে ৯টি ও ব্রাজিলের সামরিক দলের হয়ে তার ১টি গোল অফিসিয়ালি বিবেচনায় রাখা হয়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত পেলেকে ছাড়িয়েছেন রোনালদো। বর্তমানে তার গোল সংখ্যা ৭৭০টি। পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রিয়া ও তৎকালীন চেকোশ্লাভাকিয়ার ফুটবলার ইয়োসেপ বিকানকেও। অফিসিয়ালি তার গোল সংখ্যা ৭৫৯টি। কিন্তু চেক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, বিকানের গোলসংখ্যা ৮২১টি!
তবে সব ছাপিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলতে চান রোনালদো। আগের দিন কালিয়ারির বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ একটি পোস্ট নিজের নতুন চ্যালেঞ্জের কথা জানান এ পর্তুগিজ, 'এখন পরের ম্যাচ আর সামনের চ্যালেঞ্জ, পরের রেকর্ড ও পরবর্তী ট্রফিগুলেরার জন্য তর সইছে না আমার! বিশ্বাস করুন, এই গল্প শেষ হতে এখনও ঢের বাকি! ভবিষ্যৎ সামনেই এবং জুভেন্টাস ও পর্তুগালের হয়ে জয়ের অনেক কিছু এখনও বাকি আছে। আমার এই ভ্রমনের সঙ্গী হন! চলুন, এগিয়ে যাই!'
আর চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে পেলেকে শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেননি হালের অন্যতম সেরা এ তারকা, 'গত কয়েক সপ্তাহে খবর ও পরিসংখ্যানে ভরে গেছে যে, পেলের ৭৫৭ অফিসিয়াল গোল ছাড়িয়ে আমি বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসের শীর্ষ স্কোরার হয়ে গেছি। যদিও সেই স্বীকৃতির জন্য আমি কৃতজ্ঞ, তবে এখন সময় হয়েছে ব্যাখ্যা করার যে, কেন আজকের আগ পর্যন্ত আমি সেই রেকর্ডকে বিবেচনায় নেইনি। এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তোর (পেলে) প্রতি আমার চিরস্থায়ী ও শর্তহীন অনুরাগ, বিংশ শতাব্দীর মধ্য ভাগের ফুটবলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এতটাই যে, সাও পাওলো রাজ্য দলের হয়ে তার ৯ গোল ও ব্রাজিলিয়ান সামরিক দলের হয়ে ১ গোল ধরে তার ৭৬৭ গোলকেই আমি বিবেচনায় নিয়েছি।'
'ওই সময় থেকে এখন পৃথিবী বদলে গেছে, ফুটবলও বদলেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা নিজের সুবিধামতো ইতিহাস মুছে দিতে পারি। আজকে, আমার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৭৭০ অফিসিয়াল গোলে পৌঁছানোর পর, আমার প্রথম কথাগুলি সরাসরি পেলের জন্যই। ফুটবলবিশ্বে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই, পেলের খেলা, তার গোল ও অর্জনের কথা যে শুনে বেড়ে ওঠেনি। আমিও ব্যতিক্রম নই। এই কারণেই আমার এখন উচ্ছ্বাস ও গর্বের কমতি নেই যে, পেলের রেকর্ড ছাড়িয়ে ফুটবলের গোলের তালিকায় আমি এখন শীর্ষে।'
'মাদেইরায় (রোনালদোর জন্ম শহর) বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে যা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। আমার সঙ্গে এই অসাধারণ ভ্রমণের যারা অংশ ছিলেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার সব সতীর্থ, আমার প্রতিপক্ষরা, বিশ্বজুড়ে এই নান্দনিক খেলাটির সব ভক্ত-সমর্থক এবং সবকিছুর ওপরে আমার পরিবার ও কাছের বন্ধুরা, বিশ্বাস করুন, আপনাদের ছাড়া এটা আমি করতে পারতাম না।'
Comments