দিল্লিতে কাল ৬ নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠক

স্টার ফাইল ফটো

আগামীকাল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠক করবেন ভারত ও বাংলাদেশের পানি সচিব। বৈঠকে ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এতে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হবে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের আগে এই বৈঠকে বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ও ভারতের পানি সচিব পঙ্কজ কুমার দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬-২৭ মার্চ ঢাকা সফর করবেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের পানি সচিব বৈঠকের জন্য দিল্লিতে আছেন। ছয়টি নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।’

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে ঢাকা ও দিল্লি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে সই করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৯ সালে ছয়টি ছোট নদী—মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

মোমেন বলেন, তিস্তা চূড়ান্তই ছিল। সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা প্রতিটি পৃষ্ঠায় সই দিয়েছিলেন। আমরা জানি কেন তখন কেন এটি সই হয়নি। ভারত বারবার বলেছে যে তারা এই চুক্তির সঙ্গে আছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে সব বৈঠকেই বিষয়টি উত্থাপন করেছি।

তিনি জানান, শুধু তিস্তা নয়, দুই সরকার আরও ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়ে কাজ করছে। দুই দেশের ৫৪টি যৌথ নদী আছে। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা ও ২০১৯ সালে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সই হয়।

দুই দেশের পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে টেকনিক্যাল কমিটি বৈঠক করেছে এবং পানি প্রবাহের তথ্য বিনিময় করেছে।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুই পক্ষ নদীগুলোর থেকে দুই দেশের ব্যবহৃত পানির পরিমাণের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আলাপ করেছে। একবার দুই দেশের পানি ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় হয়ে গেলে, পানি বণ্টন চুক্তির কাঠামো তৈরি করা যাবে।

পানি সচিব পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলাদেশ বেসিন-ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা চায়। এর জন্য নদী প্রবাহ, যৌথ গবেষণা, ড্রেজিং ইত্যাদির তথ্য বিনিময় করা প্রয়োজন।

এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ একটি সেচ প্রকল্পের জন্য রহিমপুর খাল থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে চায়। গঙ্গার পানির সর্বোত্তম ব্যবহারে একটি যৌথ সমীক্ষা চায় বাংলাদেশ।

‘আমরা বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব,’ তিনি বলেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hosts discussion on first anniversary of July uprising

Leaders recall sacrifices, call for unity at Dhaka gathering

34m ago