ঢামেকের কোভিড আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ড: ৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনায় আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অগ্নিকাণ্ডের কারণে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া তিন জন হলেন— চাঁপুরের পিডিবির ইঞ্জিনিয়ার কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৬), টাঙ্গাইলের কিশোর চন্দ্র রায় (৭০) ও মানিকগঞ্জের মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮)।
আজ বুধবার সকালে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে কারো মৃত্যু হয়নি। আগুন লাগার পরে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮টা ১৩ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়।’
ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ডেইলি স্টারকে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা চলছিল, সেখান থেকে শব্দ হয়ে ধোঁয়া বের হয়ে আগুন ধরে যায়। আইসিইউর পাশে ছিল পোস্ট সিসিইউ। সেখানে ধোঁয়া প্রবেশ করায় সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি গঠন করেছে। ঢামেকের তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ‘নতুন ভবনের করোনা ইউনিটের কোভিড আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে ১৪ জন রোগী ছিলেন। আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরে সবাইকে সরিয়ে ফেলা হয়। রোগীদের পুরনো ভবনের আইসিইউ ও বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে নেওয়া হয়। কোভিড আইসিইউর পাশের পোস্ট সিসিইউও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, সেটি দুই-তিন দিনের মধ্যেই চালু করা যাবে। আর আইসিইউ চালু করতে আরও সময় লাগবে।’
কোভিড আইসিইউতে থাকা এক রোগীর ছেলে ডেইলি স্টারকে জানান, হালকা একটা শব্দ হয়ে আগুন শুরু হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাবার অক্সিজেন খুলে তাকে কোলে নিয়েই পাশের সিসিইউতে নেই। সেখানেও ধোঁয়া প্রবেশ করে। সেখানেই বাবাকে অক্সিজেন লাগিয়ে আধা ঘণ্টা ছিলাম। পরে সেই ফ্লোরেরই একটি সিসিইউ ওয়ার্ডে যাই।
আরও পড়ুন:
Comments