অনেক অর্জনের ম্যাচে শেষ আটে ম্যান সিটি

টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটিজেনরা।
de bryune
ছবি: টুইটার

প্রথম লেগে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ পাত্তা পায়নি ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। দ্বিতীয় লেগেও দেখা মিলল একই চিত্রের। জার্মান ক্লাবটিকে ফেরার কোনো সুযোগ দিলো না ইংলিশ পরাশক্তিরা। অনেক মাইলফলক ছুঁয়ে তারা পা রাখল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে।

মঙ্গলবার রাতে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় ২-০ গোলে জেতে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। দুটি গোলই হয় ম্যাচের শুরুর দিকে। কেভিন ডি ব্রুইন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ইলকাই গুন্দোয়ান।

দুদলের আগের দেখাতেও ম্যাচের ফল ছিল একই। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটিজেনরা।

করোনাভাইরাসের কারণে নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচ বুদাপেস্টে খেলতে হয়েছে সিটিকে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় আগের ম্যাচটিও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। সেটা ছিল মনশেনগ্লাডবাখের হোম ম্যাচ।

গোটা ম্যাচে দাপট দেখানো স্বাগতিকরা প্রতিপক্ষের গোলমুখে নেয় দশটি শট। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ছয়টি। বিপরীতে, সফরকারীদের ছয়টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে। তবে সিটির জাল কাঁপানোর জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

১২তম মিনিটে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইন করেন চমৎকার একটি গোল। রিয়াদ মাহরেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে বুলেট গতির শট নেন তিনি। বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে ঢোকে। মনশেনগ্লাডবাখের গোলরক্ষকের বল ফেরানোর কোনো উপায় ছিল না।

gundogan
ছবি: টুইটার

ছয় মিনিট পর আবার উল্লাসে মাতোয়ারা হয় ম্যানচেস্টারের দলটি। ছন্দে থাকা গুন্দোয়ান দারুণ কায়দায় লক্ষ্যভেদ করলেও মূল কৃতিত্ব প্রাপ্য তরুণ ফিল ফোডেনের। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে এই ইংলিশ মিডফিল্ডার ডি-বক্সের ভেতরে খুঁজে নিয়েছিলেন সতীর্থকে।

ম্যাচের বাকি অংশে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করে সিটি। মাহরেজ, ডি ব্রুইন, গুন্দোয়ানরা ভীতি ছড়ান প্রতিপক্ষের রক্ষণে। বেশ কয়েকবার তারা পরীক্ষায়ও ফেলেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে। কিন্তু ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি তারা।

মাইলফলক:

- চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০০ গোল করার কীর্তি দেখাল ম্যান সিটি। আগের সাত মৌসুমেও এই স্বাদ নিয়েছে তারা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ক্লাবগুলোর মধ্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে কেবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টানা নয় মৌসুম (২০০৪-০৫ থেকে ২০১২-১৩) ১০০ ছুঁয়েছিল তারা।

- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা সাত ম্যাচে কোনো গোল হজম না করে এসি মিলানকে স্পর্শ করল সিটিজেনরা। ২০০৫ সালে এই কীর্তি গড়েছিল ইতালিয়ান পরাশক্তিরা। টানা দশ ম্যাচে জাল অক্ষত রেকর্ড আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের দখলে (২০০৬)।

- ২০০৮-০৯ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হন গার্দিওলা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে মোট ১২ মৌসুম তিনি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রতিবারই তার শিষ্যরা গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করার নজির গড়ল।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago