স্থানীয়দের তাড়ায় প্রাণ গেল নীলগাইটির
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দারখোর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা নীলগাইটি স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়ায় মারা গেছে।
মারা যাওয়া প্রাণীটি যে নীলগাই তা নিশ্চিত করেছেন আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, তাড়া খেয়ে অতিরিক্ত দৌড়ানোর কারণে ক্লান্ত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে নীলগাইটির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন বলেন, ‘দারখোর সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পেড়িয়ে নীলগাইটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফসলি জমিতে ছুটোছুটি করতে থাকে। এ সময় ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষ নীলগাইটির পিছু নেয়। এক পর্যায়ে প্রাণীটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নে চলে যায়। পরে প্রাণীটি একটি খাল লাফিয়ে পার হতে গিয়ে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। প্রাণীটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে দেখে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু, তারা আসার আগেই প্রাণীটির মৃত্যু হয়।’
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নীলগাইটির মরদেহ বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হৃষিকেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘মারা যাওয়া নীলগাইটি পুরুষ প্রজাতির। প্রাপ্তবয়স্ক এই নীলগাইটি আট ফুট লম্বা ও উচ্চতা চার ফুট। ধূসর রঙের এই নীল গাইটি প্রায় আড়াই থেকে তিন মন ওজনের হবে।’
মৃত নীলগাইটিকে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকার বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শৌলা দোগাছি গ্রাম থেকে একটি নীলগাই উদ্ধার করা হয়। যেটি বর্তমানে বিজিবির কান্তিভিটা সীমান্ত ক্যাম্পে আছে।
এর আগে, ২০১৮ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামে একটি স্ত্রী নীলগাই ধরা পড়েছিল। পরে সেটি দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ সেখানে সেটি মারা যায়।
Comments