‘দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ, রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ!’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দশ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে আলপনা আঁকছে গাইবান্ধার প্রায় ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন পুসাগ।
আয়োজকদের দাবি, এটাই হবে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা। যা জায়গা করে নেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ) এই আলপনা উৎসবের আয়োজন করেছে।
আজ দুপুর একটা থেকে এটি শুরু হয় এবং চলবে পরবর্তী ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী।
গাইবান্ধা শহরের পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে শুরু করে সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গার মোড় পর্যন্ত দশ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে এই আলপনা আঁকা হবে।
এই আলপনা উৎসবের শ্লোগান হলো- দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ, রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।
পুসাগের সহ-সভাপতি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সিয়াম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আলপনা আমাদের বাঙালি জাতির ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অংশ। এটি বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণ করতে দীর্ঘতম আলপনা উৎসব করছি।’
‘পাশাপাশি এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আলপনা হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করবে বলে আমরা আশাবাদী,’ বলেন সিয়াম।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া খানম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গাইবান্ধা উত্তরবঙ্গের পশ্চাৎপদ এলাকা হওয়ায় এই জেলাকে দেশের অনেক মানুষ চেনে না। এই আলপনার মাধ্যমে এবার যাতে গাইবান্ধাকে সবাই চেনে সেজন্য এমন স্লোগান।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার ব্যাচের ৮০ জন শিক্ষার্থী। আমি একমাত্র গাইবান্ধা থেকে সেখানে পড়ছি। বাড়ি গাইবান্ধা বললে অনেকেই চেনে না। তাদের বলতে হয়- গাইবান্ধা রংপুর বিভাগের একটি জেলা এবং একটি শহর। এজন্য আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে এমন কিছু ইতিবাচক কাজ করতে চাই, যাতে সবাই গাইবান্ধাকে চেনে।’
পুসাগের সভাপতি হোসাইন মো. জিম বলেন, ‘ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ঘেঁটে আমরা দেখেছি- আগের দীর্ঘতম আলপনাটি ছিল ভারতে। প্রায় ছয় কিলোমিটার। সেটি ভাঙতে আমরা করছি ১০ কিলোমিটার। ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের আলপনা আঁকা শেষ হবে। তারপরে আমরা সমস্ত তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে দেব গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা হিসেবে জায়গা করে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশ কিলোমিটারের ১০টি পয়েন্টে চলছে আলপনা আঁকার কাজ। প্রত্যেক পয়েন্টে ৭০-১০০ শিক্ষার্থী আঁকছেন আলপনা।’
আয়োজকরা জানান, দশ কিলোমিটার আলপনা আঁকতে খরচ হবে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা। এরমধ্যে রেইনবো পেইন্ট রঙের যোগান দেবে। বাকি খরচ গাইবান্ধার কিছু মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করছে।
Comments